মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৫ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

সুন্দর স্বপ্ন দেখে ধোঁকায় পড়ো না!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি তাকি উসমানি । । 

কেউ যদি স্বপ্ন দেখে, জান্নাতে প্রবেশ করেছে, জান্নাতের বাগানগুলােতে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার সুরম্য অট্টালিকাগুলাে ঘুরে ঘুরে দেখছে, তাহলে এটা একটা উত্তম আভাস। তাই বলে যে তার আবাসস্থল জান্নাত হয়ে গেছে- এ ধারণা করা বোকামী। এ স্বপ্নের কারণে ইবাদত ও আমল ছেড়ে দেয়া সম্পূর্ণ পাগলামী। বরং সুন্দর স্বপ্ন দেখার জন্য ইবাদতে আরাে অধিক মনােযােগী হতে হবে।

সুন্নাতের অনুসরণে তখন আরাে বেশি উৎসাহী হতে হবে। তখনই হবে সত্য স্বপ্নের সঠিক মূল্যায়ন। এর বিপরীত করলে হবে সত্য স্বপ্নের অপব্যাখ্যা ও অবমূল্যায়ন।

ও স্বপ্নের মাধ্যমে রাসূল সা.যদি কোনাে নির্দেশ দেন, তাহলে...

যদি স্বপ্নের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সা. কোনাে কাজের নির্দেশ দেন, কাজটি যদি শরীয়তের সীমানার ভেতর হয়, যেমন কাজটি হয়ত ফরজ বা ওয়াজিব কিংবা সুন্নাত অথবা মুবাহ- তবে ওই কাজটি করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। যেহেতু শয়তান নবিজী সা.-এর আকৃতি ধরতে পারে না এবং কাজটিও শরিয়তের গণ্ডিবহির্ভূত নয়, সেহেতু কাজটি করাই হবে তার জন্য শ্রেয়। না করলে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়।

স্বপ্ন শরীয়তের দলীল নয় কিন্তু স্বপ্নের মাধ্যমে যদি রাসূল সা. এমন কোনাে নির্দেশ দেন, যা শরি য়তের আওতায় পড়ে না; যেমন- কেউ রাসূলুল্লাহ সা. কে স্বপ্নে দেখলাে, মনে হলাে তিনি এমন একটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন, যা শরিয়ত সমর্থন করে না, তখন স্বপ্নের উপর ভিত্তি করে শরীয়ত অসমর্থিত কাজ করা জায়েয হবে না।

কেননা, আল্লাহ তাআলা স্বপ্নকে শরিয়তের দলীল হিসাবে নির্ধারণ করেননি। পক্ষান্তরে নবিজী সা.-এর যেসব বাণী বিশুদ্ধ সূত্রে আমরা পেয়েছি, সেগুলাে শরিয়তের দলীল হিসাবেই পেয়েছি। যেগুলাের উপর আমল করা জরুরি।

স্বপ্নের উপর ভিত্তি করে শরিয়তের স্পষ্ট নির্দেশ লঙ্ঘন করা মােটেও জায়েজ হবে না। শয়তান যদিও রাসূল সা.-এর সুরত ধরতে পারে না; কিন্তু এমনও তাে হতে পারে যে, জাগ্রত হওয়ার পর শয়তান অন্তরের মাঝে কুমন্ত্রণা প্রবেশ করে দিয়েছে অথবা এও তাে হতে পারে, নিজের কোনাে খেয়ালীপনা স্বপ্নের সঙ্গে তালগােল পাকিয়ে গিয়েছে।

মােটকথা, স্বপ্ন স্বপ্নই। স্বপ্নের মাঝে সমূহ সন্দেহ ও সম্ভাবনা অস্বীকার করা যাবে না। এজন্যই স্বপ্ন কখনও শরিয়তের দলিল হতে পারে না। আর শরিয়ত শরিয়তই । স্পষ্ট ও বিশুদ্ধ সূত্রে জাগ্রত অবস্থার পবিত্র কথামালা আমরা রাসূলুল্লাহ সা. থেকে পেয়েছি, একেই তাে শরিয়ত বলে। আমরা শরিয়তের উপর আমল করব। স্বপ্নের ভিত্তিতে শরিয়তকে উপেক্ষা করা যাবে না।

(মুফতি তাকি উসমানির ইসলাহি খুতুবাত থেকে )


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ