তারেক সাঈদ
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অপার দয়ায় আমরা পবিত্র মাহে রমজানে উপনিত হতে পেরেছি। আলহামদুল্লিলাহ!
এ মাস আত্মশুদ্ধির মাস, এ মাস আত্ম উপলব্ধির মাস, এ মাস নিজেকে পুত-পবিত্র করার মাস। এ মাস রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস।
হাদিস শরিফে এসেছে; এটি এমন একটি মাস, যার প্রথম ভাগে আল্লাহর রহমত, মধ্যভাগে গুনাহের মাগফিরাত এবং শেষ ভাগে দোজখের আগুন থেকে মুক্তিলাভ রয়েছে।’ (মিশকাত)। শেষ হয়ে যাচ্ছে মাগফিরাতের দশক। আমরা আল্লাহর থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে পেরেছি? নিজেকে প্রশ্ন করা দরকার।
রাতের শেষ প্রহরে প্রতিদিন ঘুম থেকে সেহরি খেতে ওঠছি কিন্তু আল্লাহর দরবারে অশ্রু ঝরিয়েছি কোনো দিন? বলেছি আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দাও? আমার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দাও? আমার বাবা মার গুনাহ গুলো ক্ষমা করে দাও?
আমি আমরা পরের বছরের রমজান পাবো কি না জানি না, এ রমজান পেয়েও যদি ক্ষমা নিতে না পারি তাহলে আমাদের দুর্ভাগ্যের আর শেষ নেই।
আমরা রোজা রাখছি। রমজানের রোজা হলো গুনাহ মাফ এবং মাগফিরাত লাভের মধ্য দিয়ে চিরশান্তি, চিরমুক্তির একটি সুনিশ্চিত ব্যবস্থা, অতি নির্ভরযোগ্য সুযোগ। কিন্তু যে এ সুযোগের সদ্ব্যবহার না করে তার ধ্বংস অনিবার্য, তার বিপদ অবশ্যম্ভাবী।
কেননা অন্য আরেক হাদিসে এসেছে, ইমাম বুখারি রচিত আল মুফরাদ গ্রন্থে রয়েছে, হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ বলেন, জিবরাইল আ. এসে নবীজিকে সা. বললেন, ধ্বংস হোক ওই ব্যক্তি, যে রমজান মাস পাওয়ার পরও নিজের গুনাহ মাফ করে নিতে পারল না। তখন নবীজি সা. বললেন, আমিন।
আমাদের মনে রাখা দরকার, যেখানে রাসূল সা. দোয়া করেছেন তা কখনও বিফলে যাবে না। তাই আমাদের মাগফিরাতের এ দশকে সতর্ক হওয়া জরুরি। বিদায় নিয়েছে রহমতের প্রথম দশক। এক্ষণে আমাদের ভেবে দেখা দরকার, আত্মশুদ্ধি অর্জনে আমরা নিজেদের কতটুকু পরিপূর্ণ করতে পেরেছি।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের সর্বদায়ই ক্ষমার দিকে ডাকতে থাকেন, তিনি বলেন, হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে তওবা কর-আন্তরিক তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।
সেদিন আল্লাহ নবি এবং তাঁর বিশ্বাসী সহচরদেরকে অপদস্থ করবেন না। তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানদিকে ছুটোছুটি করবে। তারা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান। (সূরা তালাক ৩৮)
আসুন আমরা এই পবিত্র মাহে রমজানের দ্বিতীয় দশককে কাজে লাগাই। আমরা বেশি বেশি করে ইসতেগফার করি। আমরা আমাদের এই গোনাহ মাফির সুযোগকে কাজে লাগাই। এবং অবশিষ্ট রোজা গুলো শুদ্ধতার সাথে আদায় করার তৌফিক কামনা করছি।
-এটি
 
                              
                           
                              
                           
                         
                              
                           
                        
                                                 
                      
                                                  
                                               
                                                  
                                               
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                        