সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
‘কোরবানির চামড়া লবণজাত করে ক্ষতিগ্রস্ত মাদরাসার পাশে দাঁড়ায়নি সরকার’  আওয়ামী ‘দোসরদের’ রাজনীতি নিষিদ্ধে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকসুতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ টঙ্গীতে ইমামদের উদ্যোগে সিরাত প্রতিযোগিতা ডাকসু নির্বাচন ভণ্ডুলের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার পূর্ব নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে ডাকসু নির্বাচন : ঢাবি প্রশাসন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য রাজনীতি করি : জমিয়ত মহাসচিব  আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় জামায়াতের শোক আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মেধাবী প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সুযোগ

আবুল কালাম জাকারিয়া রহ. ও আমার না পারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুসা আল হাফিজ
কবি, কলামিস্ট, গবেষক

গত সপ্তাহের ছবি। একটি কুরআন শিক্ষা বোর্ড সনদ উত্তীর্ণকারীদের সনদপত্র দেবে বলে একটি আলোচনা সভার আয়েজন করে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে। সেখানে তাঁর সাথে আমার সর্বশেষ সাক্ষাত। দীর্ঘ কথা হয়েছিলো মহান এই আলেমে দ্বীনের সাথে। আলোচ্য বিষয় ছিলো কুরআন শিক্ষার সম্প্রসারণ।

জেনারেল শিক্ষিতদের পাশাপাশি বস্তিবাসী শিশু-কিশোর, ঝরে পড়া শিক্ষার্থী, চা-শ্রমিক, রিকসা ও গাড়িড্রাইভার, হোটেল কর্মচারি ইত্যাদি শ্রেণির মধ্যে কুরআনি শিক্ষা ও চেতনা ছড়িয়ে দেবার একটি পরিকল্পনার কথা তাঁকে জানালাম। মক্তবব্যবস্থা নিয়ে কিছু লক্ষ্যের কথা বললাম। অসুস্থ তাঁর চেহারা খুশিতে ঝলমলিয়ে উঠলো। বললেন, আমার সহযোগিতা পাবেন, ইনশা আল্লাহ।

গত বছর একই মিলনায়তনে একটি কুরআন শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যে আমি তাঁর সমীপে অনুরোধ করেছিলাম, সিলেটে সক্রিয় বোর্ডগুলোকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসা হোক। সেটা সম্ভব আপনার নেতৃত্বে। আপনি উদ্যোগ নিলে সেটা সহজেই সম্ভব। বক্তব্য রেখেই আমি চলে আসি।

এক বছর পরে একই জায়গায় একই বিষয়ে আয়োজিত সভায় তিনি বললেন, সবগুলো বোর্ডকে যার যার স্বাতন্ত্র বজায় রেখে একই প্লাটফর্মে আনা যায়। এজন্য সনদের পরীক্ষা সমন্বিতভাবে হতে পারে। গত বছরে প্রদত্ব প্রস্তাব আমার মনে আছে। এটা জরুরি ।

কী প্রস্তাব দিয়েছিলাম আগের বছর, আমার তখন মনে ছিলো না, কিন্তু তিনি ভুলেননি। আমাকে একান্তে বললেন, ঐক্যের একটি ফর্মুলা বানান। এটা আপনি করবেন। যত তাড়াতাড়ি পারেন, করেন। বিলম্ব না করাই উচিত।

বিলম্ব না করাই উচিত, কথাটির মধ্যে কী রহস্য ছিলো, বুঝিনি। ভাবছিলাম, আগামি সপ্তাহে কাজটি করবো। যাবো তাঁর সমীপে। এ সপ্তাহ গেছে অন্যান্য ব্যস্ততায়। বিবিধ কাজকামে। আমি কি জানতাম, সময় শেষ করে চলছি! যথার্থ মানুষটিকে আর পাবো না এ সপ্তাহের পর। তিনিই ছিলেন যথার্থ ব্যক্তি, যিনি ডাকলে সবাই একই ছাদের নিচে আসা অনিবার্য।

কিন্তু হায়, তিনি চলে গেলেন, ছাদ ভেঙ্গে গেলো। ছাদ নেই, ছাতা নেই, আর আমি হতবাক, স্তব্ধ, বাকরুদ্ধ। নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ