বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
খেলাফত আন্দোলনের সাথে সমমনা ইসলামি দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত কুরআনের মহব্বত থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা: শায়খ নেছার আহমদ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার হোসেন ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ নাশরুস সীরাহ’র সীরাত প্রতিযোগিতা, চলছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়: তীব্র নিন্দা ধর্মীয় নেতাদের মহাসমাবেশে আসার পথে আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই  ইবনে শাইখুল হাদিস এর আগমন উপলক্ষে শৈলকুপায় ব্যাপক প্রস্তুতি পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেতুয়া হুজুরের বাড়িতে ইসলাহি মাহফিল

আরবী ভাষাকে 'আরবী' বলার কারণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: অভিধান থেকে ‘আরবী’ শব্দের দু'টি অর্থ আমরা পেয়ে থাকি- (১) শান্ত, ভদ্র, সুশীল, সুবােধ, বাকনিপুণ ভাষা। (২) মরু সেমেটিয়দের ভাষা।

আমরা যদি এই দু' অর্থের সমন্বয় করে বলি যে, অন্যান্য সেমেটিক ভাষা গুলির মধ্যে মরু সেমেটিকদের ভাষা শান্ত, ভদ্র, সুশীল, সুবােধ, বাক নিপুণ বলে তার নাম আরবী- তবে নিশ্চয় যথার্থ হবে।

আরবী ভাষার প্রাচীনত্ব কতটুকু, পৃথিবীর আদি ভাষা কি?

ভাষা বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর আদি ভাষা সম্পর্কে চূড়ান্ত ফয়সালা এখনও দিতে পারেননি। ইসলামী বিশ্বাস, পৃথিবীর আদি ভাষা আরবী-এটাই আদমের ভাষা। ভাষা বিজ্ঞানীদের চূড়ান্ত অন্বেষণে হয়ত তাই বেরিয়ে আসবে।

আরবী বর্ণ অক্ষরের জনক হিসেবে অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন- নবী হযরত ইসমাইল আ.। আবার অনেকে বলেন- ইসমাইল বংশের ‘আদনান’ এর কথা। ঐতিহাসিক মসউদির মতে- “বনী মসিনের ছেলেরা আরবী বর্ণ অক্ষরের আবিস্কারক; তাদের নাম- আবজাদ, হুত্তি, হুওয়জ, কালিমন। ওদের নামানুসারে আরবী বর্ণ অক্ষরের নাম করণ করা হয়েছে।

ইবনে খালদুনের মতে- “পৃথিবীর প্রথম লেখা শুরু করেন দক্ষিণ আরবের লােকেরা।” (আরবী সাহিত্যের ইতিহাস, পৃঃ ১০৪)।

ভাষা বিজ্ঞানী ড. মােহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন- ‘আরবী লিপি শামী লিপি থেকে এসেছে এবং গ্রীক ও লাতিন বর্ণমালাও ঐ শামীর অনুকরণে রচিত।’ (ডঃ মােহাম্মদ শহীদুল্লাহর সম্বর্ধনা গ্রন্থ; আরবী বর্ণমালা)।

সিনাই উপদ্বীপ থেকে আবিস্কৃত বর্ণলিপিকে বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম বর্ণ লিপি। গবেষকদের মতে, ‘খ্রিষ্টপূর্ব ১৮৫০ অব্দে সম্ভবত এই লিপি গুলি খােদাই করা হয়েছিল।’

আধুনিক গবেষকরা মনে করেন- “ফিনিশিয়রাই সর্ব প্রথম লেখার ক্ষেত্রে বর্ণানুক্রমিক পদ্ধতি চালু করেন এবং তারা মিশরের সাংকেতিক চিত্রলেখা উপাদান থেকেই এই পদ্ধতির ভিত্তি গ্রহন করেছিলেন। আমরা ইতিহাসে দেখতে পাই ফিনিশিয়দের মূল ধাত্রী ভূমি আরব।

ফিলিপ কে, হিট্টি লিখেছেন- প্রাচীন সেমেটিক ছিলেন একজন আরব, ইহুদী নয়। কবির মূল নাম “আয়য়ােৰ" বা “আয়ুব"। তার কবিতার পটভূমি বিচার করলেই বুঝা যায়, তা যে উত্তর আরবীয়।”

তিনি আরও লিখেছেন প্রাচীন হিব্রু কবিতায় আরবীর প্রভাব পাওয়া যায়। মধ্য যুগের হিব্রু ব্যাকরণ আরবী ব্যাকরণ রীতি মেনে বিন্যস্ত করা হয়।" (হিস্টি অব দ্যা আরব, ফিলিপ কে, হিট্টি)।

(সৈয়দ মবনু রচিত জিয়ারতে মক্কা-মদিনা থেকে সংগৃহীত)

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ