আওয়ার ইসলাম: সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন সংসদে কাদিয়ানীদের পক্ষে এবং কওমী শিক্ষা ও আল্লামা শফী’র বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য রেখেছেন। তার এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত নেতৃবৃন্দ।
আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেছেন, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন সংসদে কাদিয়ানীদের পক্ষে এবং কওমী শিক্ষা ও আল্লামা শফী’র বিরুদ্ধে অশালীন ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বক্তব্য রেখেছেন। তিনি পঞ্চগড়েও কাদিয়ানীদের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। এসব কারণে মেনন আদৌ মুসলমান আছেন, না কাদিয়ানী হয়েছেন এ নিয়ে মানুষ সন্দেহ পোষন করেছেন।
সংসদে দেওয়া বক্তব্যে তিনি তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তকেও দোষারোপ করেছেন। তার জানা থাকা উচিত আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ একটি অরাজনৈতিক ও শান্তিপ্রিয় ধর্মীয় সংগঠন। এ সংগঠন শান্তিপূর্নভাবে আল্লাহর নবীর মহান বৈশিষ্ট্য আকিদা-বিশ্বাসের হেফাজতের ব্যাপারে আন্দোলন করে যাচ্ছে। কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের খতমে নবুওয়ত বিরোধী আকিদা ও বিশ্বাসের কারণে সারা বিশ্ব ও বাংলাদেশের মুসলমানদের তথা ওলামায়ে কেরাম ও তাওহিদী জনতার ঐক্যমতের ভিত্তিতে তারা অমুসলিম।
পৃথিবীর অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রে কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণা করা হলে কাদিয়নীরা অন্যান্য সংখ্যালঘু অমুসলিমদের মতো তাদের নাগরিক অধিকার নিয়ে এ দেশে বসবাস করতে পারবে, তাতে কোন আপত্তি থাকবে না। রাশেদ খান মেনন তার বক্তব্যে এ বিষয়ে অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন।
মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও কওমী শিক্ষার প্রতি কটাক্ষ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের অবমাননা করেছেন। রাশেদ খান মেনন তার মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
গতকাল (৪ মার্চ) আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রতিবাদসভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, মাও: মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাও: আহমদ আলী কাসেমী, মাও: জহুরুল ইসলাম, মাও: আব্দুল মালেক, মাও: মাসউদ আহমদ সাহেব, মাও রাশেদ বিন নুর , মুফতি মোরশেদ বিন নুর প্রমুখ
-এএ