আওয়ার ইসলাম: গতকাল চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে কমান্ডো অভিযানে নিহত পলাশ আহমেদের (২৩) লাশ নেবে না তার পরিবার বলে জানা যায়।
আজ সোমবার সকালে নিহতের বাবা ফিয়ার জাহান বলেন, আমরা পলাশের লাশ নিতে যাবো না। যদি প্রসাশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়, তাহলে গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর সোনারগাঁও থানার এক এসআই পলাশের ছবি দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে গেছেন। এছাড়া এই বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে আর কোনো ধরণের যোগাযোগ করা হয়নি।
এদিকে অস্ত্রধারী তরুণের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে রয়েছে। লাশ নিতে আজ সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত তার কোনো স্বজন মর্গে আসেননি। এ সময় পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় নগরের পতেঙ্গা থানার পুলিশ।
পলাশের বাড়িতে ১১টি ঘর। তারা বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, পলাশ তার একমাত্র ছেলে। তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বাড়িতে জান্নাত নামে চার বছরের আরেকটি মেয়ে আছে।
পিয়ার জাহান বলেন, ১৯৯০ সালে কাজের উদ্দেশ্যে তিনি ইরাক চলে যান। সেখানে চার বছর থাকার পর দেশে ফিরে আসেন। পরে তিনি আবার সৌদি আরব চলে যান। ২০১২ সালে তিনি দেশে ফেরেন।
তিন বলেন, এর মধ্যে ছেলে পলাশ মাহমুদ তাহেরপুর ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা থেকে ২০১২ সালে দাখিল পরীক্ষা দিয়ে পাস করে। দাখিল পাস করে সে সোনারগাঁ ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়। সেখানে পড়া অবস্থায় সে ঢাকায় চলে যায়। তারপর থেকে তার আচরণে পরিবর্তন দেখা দেয়।
পলাশ গত শুক্রবার দুবাই যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সে ঢাকায় বিভিন্ন নাটক, মিউজিক ভিডিও তৈরি করতো। উশৃংখল চলাফেলার জন্য আমরা তার ওপর বিরক্ত ছিলাম বলেও জানান তিনি।
-এটি