আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার প্রায় দুই বছর পার হতে চললেও এখনো রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসা থামছে না। মাঝে বেশ কয়েকদিন ধীরগতির পর আবার নতুন করে বাংলাদেশে অভিমুখে ঢল নেমেছে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের। তবে এবার রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি সাধারণ বৌদ্ধ ও উপজাতিদের তাড়িয়ে দিচ্ছে মিয়ানমার; যাদের অনেকে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং বেশিরভাগকেই সীমান্ত থেকে আবার ফেরত পাঠিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে করা প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এম দেলোয়ার হোসেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লুইন ও কে তলব করে এ বিষয়ে উদ্বেগ জানান এবং নতুন করে লোক আসার তীব্র প্রতিবাদ করে একটি নোট ভার্বাল হস্তান্তর করেন।
একটি সূত্র জানায়, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়, নতুন করে পরিকল্পিতভাবে রাখাইনকে অস্থিতিশীল করে দলে দলে বৌদ্ধ এবং উপজাতিদের বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমন পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে মিয়ানমারকে।
নোট ভার্বালের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মিয়ানমারের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অমুসলিম যেমন বৌদ্ধ, খুমিন ও অন্য উপজাতীয় মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আরও কিছু লোক এখন সীমান্তে অবস্থান করছে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য। অমুসলিম যারা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে, তারা ক্যাম্পে না গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে। এসব নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
রোহিঙ্গা সঙ্কটের সূচনা হয় ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট। সেই দিন রাতে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু স্থাপনায় ‘বিদ্রোহীদের’ হামলার পর রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় অভিযান। সেই সঙ্গে শুরু হয় বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে রোহিঙ্গাদের ঢল।
রাখাইনে দুই বছর আগে সেনা অভিযান শুরু হলে নিপীড়নের মুখে ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তারও আগে থেকে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়েছে।
কেপি