আওয়ার ইসলাম: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা।
এজাহার থেকে জানা গেছে, ২ ডিসেম্বর স্কুলে পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করেছে—এমন অভিযোগে অরিত্রীকে সোমবার তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সোমবার স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে বাসায় গিয়ে দিলীপ অধিকারীর দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা অরিত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় অরিত্রীর বাবা ৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচণাকারী’ হিসেবে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কেপি