সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১৩ পৌষ ১৪৩২ ।। ৯ রজব ১৪৪৭


আবুল মাল বাদ, অর্থমন্ত্রী হচ্ছেন মুস্তফা কামাল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে নতুন মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হচ্ছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বর্তমানে পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মুহাম্মদ শফিউল আলম জানান, গঠিত হচ্ছে ৪৬ সদস্যের মন্ত্রিসভা। এই মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী থাকছেন। এর মধ্যে আ হ ম মোস্তফা কামাল এমপিকে গুরুত্বপূর্ণ অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে দেয়া হচ্ছে।

আগামীকাল বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর থেকেই নতুন মন্ত্রীরা তাদের দায়িত্ব শুরু করবেন। এর আগে রোববার দুপুর থেকে শপথ নেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা ফোন করেন সংশ্লিষ্টদের। গণভবন থেকে বেলা দেড়টার দিকে তালিকা নিয়ে সচিবালয়ে ফেরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মুহাম্মদ শফিউল আলম।

বর্তমান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আ হ ম মুস্তফা কামালের সাফল্যের জন্যই তিনি সরকারের এ গুরুত্বপূর্ণ পদটি পাচ্ছেন। কুমিল্লা-১০ আসন থেকে তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন।

রাজনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেছেন। মেধার স্বীকৃতি হিসেবে শিক্ষাজীবনেই তিনি লোটাস উপাধি পেয়েছিলেন।

আ হ ম মুস্তফা কামাল, কে তিনি 

আ হ ম মুস্তফা কামাল ১৯৪৭ সালের ১৫ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও ক্রিকেট সংগঠক। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে কুমিল্লা-১০ সংসদীয় আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য তিনি। এছাড়াও মুস্তফা কামাল ২০১৪-১৫ মেয়াদে আইসিসি এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট কামাল এ পর্যন্ত চারবার এমপি হিসেবে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্যরূপে কুমিল্লা-১০ সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কুমিল্লা জেলা (দক্ষিণ)-এর আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সচিব পদে আসীন। বর্তমানে তিনি সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর পূর্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

আইসিসির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালনের পূর্বে তিনি সেপ্টেম্বর, ২০০৯ থেকে অক্টোবর, ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ দায়িত্ব পালনকালে ২০১২-২০১৪ মেয়াদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সহ-সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন।

তিনি আইসিসির অডিট কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ থেকে ২০১২ মেয়াদকালে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের ২৬ মে আইসিসির ১১তম সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে আম্পায়ারিংয়ের মানের বিষয়ে তিনি সংক্ষুদ্ধ হন ও পদত্যাগের হুমকি দেন। এরপর ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

গত ত্রিশ বছর ধরে ক্রিকেটের সাথে সম্পৃক্ত থেকে এর উন্নয়নে বিভিন্ন দায়িত্বে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯০-এর দশকে লোটাস কামাল পেস বোলিং ক্রিকেট একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথিতযশা ক্রিকেট ক্লাব আবাহনী লিমিটেডের সাবেক পরিচালক মুস্তফা কামাল ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্লাবগুলোর ক্রিকেট কমিটির সভাপতি ছিলেন।

বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণের পূর্বকালীন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্তিতে নেতৃত্ব দেন তিনি। ২০১২-১৩ মৌসুমে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সকল খেলোয়াড়কে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় নিয়ে আসেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ