আওয়ার ইসলাম: বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা কিংবা দণ্ড স্থগিত হলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত।
শনিবার (১ ডিসেম্বর) চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামীকাল পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এ মামলার শুনানির দিন ঠিক করেন আদালত।
চেম্বার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন– অ্যাটর্নি জেনালে মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির। দুদকের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও এবিএম বায়েজিদ।
গত ২৯ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে ঝিকরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা ও দণ্ড স্থগিত করে বিচারপতি মোহাম্মদ রইস উদ্দিনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন।
পরে সাবিরা সুলতানার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, বিচারিক আদালতের দেওয়া সাবিরা সুলতানার সাজা ও দণ্ড স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এর ফলে এই আদেশের পর থেকে যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান তারা হাইকোর্টে সাজা বা দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
তবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছিলেন, সংবিধান অনুসারে ২ বছরের অধিক সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে অযোগ্য হবেন। তাই হাইকোর্টের এই একক বেঞ্চের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিলে যাবো।
আজ শনিবার আদেশের পরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আজকের আদেশের ফলে সাবিরা সুলতানার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ আর থাকল না, যদি না আগামীকাল আপিল বিভাগ ভিন্নতর কোনো আদেশ দেন। আপিল বিভাগ আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল থাকবে।’
উল্লেখ্য, জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় চলতি বছর ১২ জুলাই যশোর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবিরাকে দু’টি ধারায় তিন বছর করে মোট ৬ বছরের সাজা দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
লবিস্ট নিয়োগ দিয়েও আন্তর্জাতিক সমর্থন পাচ্ছে না বিএনপি
কেপি