আওয়ার ইসলাম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন দুই কিডনি হারানো রওশন আরা মারা গেছেন। বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে মারা যান তিনি।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রওশন আরাকে বিএসএমএমইউ এর আইসিইউতে নেওয়া হয় এবং সেখানেই তিনি ‘ডিপ কোমায়’ চলে যান।
রওশন আরার ছেলে রফিক শিকদার বলেন, ‘মায়ের মৃতদেহ এখনো বিএসএমএমইউ এর হিমঘরে আছে। আমি দ্রুত হাইকোর্টে রিট করবো এবং শাহবাগ থানায় শিগগিরই ফৌদজারি আইনে মামলা করবো।
আমার মা চলে গিয়েছেন কিন্তু আমি এই কাজগুলো করতে চাই যেন চিকিৎসকরা আরেকটু সতর্ক হন। আমার মাকে আমি ফিরে পাবো না। কিন্তু আমার মায়ের মতো আর কেউ যেন এভাবে চলে না যান সেজন্য কাজ করতে হবে।’
মায়ের মরদেহ নেবেন কি না জানতে চাইলে ছেলে বলেন, ‘আমি দেখবো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেথ সার্টিফিকেটে কী লেখে। কেবলমাত্র কিডনি হারানোর কারণে মারা গেছে এটা লেখা হলেই মরদেহ গ্রহণ করবো। তা না হলে করবো না।’
এই ঘটনার বিচার হতেই হবে বলে মনে করেন রফিক শিকদার। তিনি বলেন, ‘কারণ বিচার না হলে বাংলাদেশের মানুষ তাদের (চিকিৎসকদের) কাছে জিম্মি হয়ে থাকবে।’
এ বিষয়ে বিএসএমএমইউ এর পরিচালক (হাসপাতাল) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ-আল-হারুণ বলেন, এই ঘটনাটি তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন দিলেই বিস্তারিত বলতে পারবো তার আগে নয়।
শাপলা চত্বরে কেউ নিহত হয়নি এমন বক্তব্য মিথ্যাচার: আল্লামা বাবুনগরী