আওয়ার ইসলাম: বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে বনদস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় সুন্দরবনকে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় যেতে হয়েছে। কিন্তু র্যাবের প্রচেষ্টায় সুন্দরবনের অনেক দস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। তাই আজ আমরা এই বনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করছি।
সুন্দরবনকে দুস্যমুক্ত করতে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, আজ সুন্দরবনের আরও ছয়টি বনদস্যু বাহিনীর ৫৪ সদস্য আত্মসমর্পণ করবেন। বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিবেন বনদস্যুরা।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে দস্যুরা ৫৮টি অস্ত্র এবং ৩ হাজার ৩৫১ রাউন্ড গোলাবারুদও জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন র্যাব।
ইতিপূর্বে আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হবে অনুষ্ঠানে। তারা যাতে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে সে ব্যাপারে তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করা হবে।
র্যাব জানায়, এ পর্যন্ত ১৩৫ জন জলদস্যু র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৫০৭ জন দস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ৩১ মে র্যাবের কাছে প্রথম আত্মসমর্পণ করে দস্যুদল মাস্টার বাহিনী। এছাড়া সুন্দরবনের ২৬টি বনদস্যু বাহিনীর ২৭৪ জন সদস্য ৪১২টি দেশি বিদেশি অস্ত্র, প্রায় ১৭ হাজার গোলাবারুদসহ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আত্মসমর্পণ করে।
অরক্ষিত সুন্দরবনের সুরক্ষার দায় কার?