আওয়ার ইসলাম: সরকারি চাকরি বিল আইনে পরিণত হলে দুর্নীতি দমনে কোনো বাধা দেখছেন না দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
দুদক আইন অন্য সব আইনের ওপর প্রাধান্য পাবে বলেও মনে করছেন তিনি। তবে মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের দাবি, নির্বাচন সামনে রেখে সরকারি কর্মচারীদের খুশি করতেই এ আইন পাস হচ্ছে।
রোববার জাতীয় সংসদে উত্থাপন হয় সরকারি চাকরি আইনের বিল। এতে বলা হয়েছে আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করার আগে সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তারে নিতে হবে সরকারের অনুমতি।
বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। তিন দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে প্রতিবেদন।
নানা মহলে সমালোচনা থাকলেও বিলটি আইনে পরিণত হলে দুর্নীতি দমনে কোনো বেগ পেতে হবে না বলে মনে করছেন দুদক চেয়ারম্যান।
তবে মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হবে। আর এটি সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করেন সুলতানা কামাল। নির্বাচনে সরকারি কর্মচারীদের সমর্থন পেতেই এই আইন পাসের চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ তার।
১৯৬৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫-এর ২ ধারা অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান ও তদন্ত পর্যায়েও যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে।
২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ৫ ধারায়ও রাখা হয়েছে এই বিধান। তবে তা সরকারী কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলে বিধান রাখা হয়েছে সংসদে উত্থাপিত বিলে।
অারো পড়ুন-
আমিনুল ইসলাম মামুন; শোলাকিয়া থেকে কোটি হৃদয়ে
যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলোতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে হিজাব