হামিম আরিফ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ডাকে দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আজ (শুক্রবার) বাদ জুম’আ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হাজারও কর্মীর উপস্থিতি দেখা গেছে।
মহাসমাবেশে যোগদানের লক্ষে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বাস, ট্রাক, লঞ্চ ও ট্রেনে করে রাজধানীতে প্রবেশ করছেন দলের নেতা কর্মীরা।
জানা গেছে, দেশের ৬৪ জেলা থেকেই বাস, মাইক্রো ভাড়া করে লোকজন আসতে শুরু করে। তারা সকাল নাগাদ ঢাকায় পৌঁছেও যায়। ঢাকার বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন পয়েন্টে তারা সকালে ছোট ছোট সমাবেশ করেন।
এদিকে দুপুর ১টার আগে সমাবেশ স্থল সোহরাওয়ার্দীতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন। যে কারণে রাস্তায় রাস্তায় বিপুল পরিমাণ মানুষ অপেক্ষা করছে বলে জানা গেছে।
এর আগে আওয়ার ইসলামকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা দাবি করেছেন, ঢাকার আজকের সমাবেশ হবে নতুন করে ইতিহাস লেখার। স্মরণকালের ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে বলেও তাদের দাবি।
বৃহস্পতিবার রাতেই শেরপুর জেলা থেকে অনেকগুলো গাড়ি রিজার্ভ করে রওনা দেন শেরপুরের নেতাকর্মীরা। জেলার প্রবীন মুজাহিদ শহিদুর রহমান জানান, শেরপুর থেকে হাজারও নেতা কর্মী রাতেই গাড়ি রিজার্ভ করে রওনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ভোরেই পৌঁছে যাই বায়তুল মোকাররম। সকালে বায়তুল মোকাররমে আশপাশে হাজারও মানুষ জড়ো হয়েছে সমাবেশে যোগদানের জন্য। সোহরাওয়ার্দীর আশপাশে এমন অংখ্য মানুষ সমাবেশে যোগ দিতে অপেক্ষা করছেন বলে জানান তিনি।
সোহরাওয়ার্দীতে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাকি। তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, প্রশাসন থেকে নির্দেশনা রয়েছে সোহরাওয়ার্দীতে জুমা না পড়ার। কিন্তু এরপরও হাজার হাজার কর্মী এখানে উপস্থিত হয়ে গেছে।
আমরা মাইকে তাদের আশপাশের মসজিদগুলোতে জুমা পড়ার নির্দেশনা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, জুমার পরপরই ইনশাল্লাহ মিছিলসহ নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দীতে প্রবেশ করবেন।


ঢাকার ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখাতে চায় ইসলামী আন্দোলন
-আরআর