মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
“মানবিক করিডোর’’প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত রাষ্ট্রের দায়িত্বে কে যাবেন সেই ফয়সালা আল্লাহ করবেন : জামায়াতে আমির শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান অধ্যাপক আখতার ফারুক রহ.-এর জীবন-কর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হেফাজতের মহাসমাবেশ সফলে সাভারে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত  কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পর জামিন পেলেন মাওলানা মাসউদুল করীম

ছবি ও ভিডিওর শরয়ী বিধান; যে কারণে পড়া জরুরি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতী তাজুল ইসলাম জালালী

মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ। মুসলিম উম্মাহ র ক্রান্তিকালের এক কাণ্ডারীর নাম। শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। বর্তমান সময়ের এক আস্থাভাজন ব্যক্তিত্ব।

শাহ আবরারুল হক রহ. এর সুযোগ্য খলিফা। ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমান রহ. এর  স্নেহধন্য আলেম। আল্লামা মুফতি তাকি উসমানি’র সাগরেদ ও সুযোগ্য উত্তরসূরি। আধ্যাত্মিক সাধক। আধুনিকতার বন্যায় ভাসমান মুসলিম মিল্লাতের পথ পদর্শক। হক ও বাতিলের রনময়দানের এক লড়াকু সৈনিক-আল্লামা মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ।

হযরতের দীর্ঘ সাধনার এক উজ্জ্‌বল প্রতিচ্ছবি, চূড়ান্ত গবেষণার এক প্রামাণ্য রচনা- ছবি ভিডিও র শরয়ী বিধান নামক গ্রন্থ।

আধুনিকতার চাদরে মোড়ানো বিশ্ব। যান্ত্রিক যুগের আলতা রাঙ্গা সমাজ। হক ও বাতিলের বিভেদহীনতায় নিমজ্জিত জাতি। আচার অনাচারে থাবায় ক্ষত-বিক্ষত ধর্ম। এক কথায় মহা বিপর্যন্ত এক ক্রান্তিকাল চলছে।

এ যান্ত্রিক যুগের ক্রান্তিকালে ছবি বা ভিডিও’র ব্যপারে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় জাতি আজ মহা বির্পযয়ের মুখে। ছবি ও ভিডিও এর অবাধ ব্যবহার চলছে সাড়া পৃথিবীতে। পবিত্র কুরআনের কোথাও ছবি বা ভিডিও-র বৈধতা নেই। নেই হাদিসেও। অসংখ্য হাদিসে রয়েছে এর অবৈধতার প্রমান। রয়েছে এর ব্যাপারে কঠিন নিষেজ্ঞা ও অশুভ পরিণতির কথা।

[ব্যবসা সংক্রান্ত ঝামলায় রয়েছেন? নিয়ে নিন জরুরি সফটওয়ার। ক্লিক করুন এখানে। ]

সাহাবি, তাবেয়ি ও আয়িম্মাদের কারও কাছ থেকেই এর বৈধতার প্রমাণ নেই। এত স্পষ্টতার পরেও এক শ্রেণির লোক এর বৈধতার দিকে ধাবিত। এর কারণ কী?

আসলে বাস্তবতা হলো, আধুনিকাতার যান্ত্রিক আবহে ছবি ও ভিডিও ধারণের পথ ও পদ্ধতির মাঝে এসেছে বৈচিত্র্য। হয়েছে ডিজিটালাইজেশন। ফলে ছবি ও ভিডিও কখন কতটুকু কিভাবে বৈধ আর কখন কতটুকু অবৈধ ও হারাম তা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিজ্ঞজনদের কাছেও মতদ্বন্দ্ব।

আসলে আধুনিকতায় গা ভাসিয়ে ছবি ভিডিও সেলফি ইত্যাদির দিকে বেপরোয়া অবাধ প্রবেশ মোটেও জাতির জন্য কল্যাণকর নয় এ ব্যপারে মনে হয় হাদিস কুরআনই যথেষ্ট। বাকি হাদিস কুরআনে ভিত্তিতে গবেষণার বিষয় থেকে যাচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতি বা অবর্তমান অবস্থা পরিপ্রেক্ষিতে শরিয়তের সীমারেখার ভেতরে থেকে কতটুকু ছবি বা ভিডিওর বৈধতা থাকতে পারে।

বিষয়টি জাতির কাছে স্পষ্ট না হলে বিজাতীয় কৃষ্টি কালচারের সাথে একাকার হয়ে মুসলিম জাতির আচার আচরণ দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ছবি ভিডিওর আবাধ ব্যবহার আমাকে যেকোন সময় শরিয়তের সীমানা থেকে বের করে দিতে পারে। বিষয়টি খুবই জটিল ও স্পর্ষকাতর।

মাওলানা মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ রচিত ছবি ভিডিওর শরয়ি বিধান বইটি মন্থন করে যা পেলাম এতে বুঝতে পারছি-এ বিষয়ে জাতিকে ধুম্রজাল থেকে বের করে দিবালোকে পৌঁছে দিতে বইটি দারুন ভূমিকা পালন করতে পারে।

আমরা বইটির সাফল্য কামনা করছি এবং হজরতের নেক হায়াত কামনা করছি। আমীন।

বইটি পূর্বে সংক্ষিপ্তাকারে প্রকাশ করা হলেও বর্তমানে বর্ধিত কলেবরে আধুনিক বিষয়গুলো সংযোজন করে নতুন আঙ্গিকে প্রকাশ করা হয়েছে।

আপনার কপিটি আজই সংগ্রহ করুন। মূল্য ২২০ টাকা মাত্র।
ফোন: 01919-450224, 01767-879106

ঘরে বসে রকমারিতেও অর্ডার করতে পারেন। ক্লিক করুন

-আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ