বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানের সফল উড্ডয়ন বাংলাদেশে সৌদি সরকারের পাঠানো কোরবানির মাংস বিতরণ শুরু ‘জুলাই সনদ পাস না হলে শহীদদের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হবে’ এআইতে মানুষের অংশীদারত্বই হবে সবার মূল শক্তি: লিংকডইন সিইও জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুজালা ও আবনা সম্মেলন কাল প্রান্তিক মানুষদের পাশে বিত্তশালীদের দাঁড়ানোর আহ্বান ধর্ম উপদেষ্টার নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হবে, সতর্ক থাকুন: প্রধান উপদেষ্টা মাদরাসা শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান, আহত ১৫ শিক্ষাব্যবস্থার পচন দূর করতে শুধু কমিশন করে কোনো লাভ হবে না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা জুলাই সনদ রাজনৈতিক ফাঁকা বুলি নয়, এর আইনি ভিত্তি চাই: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

মেয়েকে কীটনাশক খাইয়ে মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: তিন মাস আগে স্বামী জাহিদ হাসান চাকরি নিয়ে মালয়েশিয়া গেছেন। কয়েক দিন ধরে এলাকায় কানাকানি চলছে জাহিদ বিদেশ যাওয়ার আগে দেশে গোপনে একটি বিয়ে করেছেন। স্ত্রী কামনা আক্তারের কানে এ খবর পৌঁছলে এর সত্যতা যাচাইয়ে রোববার সকাল আটটার দিকে মালয়েশিয়ায় স্বামীর কাছে ফোন করেন তিনি।

সকালে দুজনের মধ্যে ফোনালাপে তুমুল ঝগড়া হয়। স্বামীর ফোন কেটে দিয়ে ঘরে থাকা কীটনাশক পানির সঙ্গে মিশিয়ে দেড় বছরের মেয়ে তাহিয়াকে খাইয়ে দেন। পরে কামনা আক্তার

হনিজেও তরল কীটনাশক পান করে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় বাড়ির লোকজন কামনা আক্তার ও দেড় বছরের শিশু তাহিয়াকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে যান। জরম্নরি বিভাগের চিকিৎসকরা কামনাকে সখীপুর হাসপাতালে রাখলেও শিশু তাহিয়াকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সখীপুর উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাদিঘী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, বছর তিনেক আগে জাহিদ হাসান প্রেম করে কামনাকে বিয়ে করেন। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় তাদের তাহিয়া নামের কন্যা শিশুর জন্ম হয়। জাহিদের বাবা আবদুর রহিম প্রায় ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে চাকরি করছেন। তিন মাস আগে জাহিদও চাকরির উদ্দেশে বিদেশ চলে যান।

বিদেশ যাওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ ধরে এলাকায় গুঞ্জন ছড়ায় জাহিদ বিদেশ যাওয়ার আগে গ্রামে একটা বিয়ে করে গেছেন। বিষয়টি স্ত্রী কামনার কানে এলে তাদের মধ্যে ফোনে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরেই তিনি ওই কা- ঘটান।

কামনার স্বামীর বাড়ির এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, ফোনে ঝগড়া করেই কামনা ঘরে ঢুকে যান। কিছুক্ষণ পর বাড়ির লোকজন ওই ঘরে উঁকি মারলে বিষপানের পর কামনাকে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার প্রস্ত্মুতি নিতে দেখেন। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির লোকজন কামনা ও শিশু তাহিয়াকে উদ্ধার করে দ্রম্নত সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করান।

সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের জরম্নরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, দেড় বছরের শিশুকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে মা কামনা আক্তারের পেট থেকে বিষ বের করে ফেলা হয়েছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।

কেএল


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ