রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে, হুমকি ট্রাম্পের আ.লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ ইসলাম সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য

যেভাবে আরবদের মগজ ধোলাই করছে ইসরায়েল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম :  কোন এক শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচেই আদ্রেই টুইটারে তার এক লাখ ৮৬ হাজার ফলোয়ারকে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন।

আরবিতে ওই টুইটে তিনি লিখেছেন- সবার জন্য একটি সুন্দর শুক্রবার প্রার্থনা করছি। মাঝে মাঝে তিনি তার টুইটে কোরআন ও হাদিসের বাণীও উদ্ধৃত করেন।

তিনি তার প্রতিটি পোস্টে আরব ও ফিলিস্তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মনোযোগ টানতে সক্ষম হয়েছেন।-খবর আল জাজিরার।

গত মাসে তিনি তার এক পোস্টে লিখেছেন, কীভাবে মানুষ আপনাকে স্মরণ করবে বলে আপনি মনে করেন? একজন শ্রদ্ধাভাজন, সফল মানুষ নাকি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসী হিসেবে?

পরবর্তী টুইটে তিনি বলেন, মোহাম্মদ সালেহ ও মোস্তফা আল আগার মতো সফল কেউ নাকি আহমাদ জাররারের মতো কোনো সন্ত্রাসী? দুটির মধ্যে একটি বেছে নিন?

মিসরের জনপ্রিয় ফুটবল তারকা মোহাম্মদ সালেহ ও সৌদি মালিকানাধীন এমবিসি চ্যানেলের ক্রীড়া কর্মসূচির উপস্থাপক মোস্তফা আগা। অ্যাভিচেই এ দুজনকে আরবদের আদর্শ মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।

আর জাররাহকে গত জানুয়ারিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরের অবৈধ বসতি স্থাপনকারী এক ইহুদিকে হত্যার জন্য দায়ী করা হয়। পরবর্তী সময় গত ফেব্রুয়ারিতে ইসরাইলি বাহিনী তাকে খুঁজে বের করে হত্যা করেছে।

অ্যাভিচেই আদ্রেইর মতো আরও বহু ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্ট চালাচ্ছেন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।তারা আরব নাগরিকদের মগজ ধোলাই করতে এসব অ্যাকাউন্ট খুলে আরবিতে বার্তা দেয়া শুরু করেছেন।

এসব অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার রয়েছেন ফিদা জানিন নামে এক ফিলিস্তিনি নাগরিক। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের একটিই উদ্দেশ্য। তারা আরব বিশ্বের সর্বোচ্চপর্যায়ে অনুপ্রবেশ করতে চায়।

তিনি বলেন, আরবদের মায়ের ভাষায় কথা বলে ইসরাইলি কর্মকর্তারা একটা যোগাযোগের পথ খুলতে চাচ্ছেন। ইসরাইলি দখলদারিত্বকে স্বাভাবিক করতে তারা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। ইহুদিবাদের অস্তিত্বকে তারা পরিষ্কার ভাবমর্যাদায় তুলে ধরতে চাচ্ছেন।

গাজা উপত্যকায় জন্ম নেয়া ফিদা জানিন বর্তমানে জার্মানির বার্লিনে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইল নিজেদের তুলে ধরছে। দেশটির কর্মকর্তারা বলতে চাচ্ছেন, তারা হচ্ছেন সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার শিকার।

এভাবেই তারা নিজেদের পুরো ঔপনিবেশিক, গণহত্যা ও মানুষকে বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করার ইতিহাসকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।

ভূমি দিবসের এক টুইটবার্তায় অ্যাভিচেই লিখেছেন- নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে ৩০ হাজার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীকে পাঠানো হয়েছে। যেটা হামাসের সন্ত্রাসবাদকে নির্দেশ করে। তারা গাজা অধিবাসীকে অপব্যবহার করছে। যুগান্তর।

আরও পড়ুন : ইসরাইলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিন : আরব লীগকে হামাস


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ