বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ কক্সবাজারের ওবায়দুল করিম আমরা কোরআনকে জাতীয় সংসদে নিয়ে যেতে চাই: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে শনিবার বিক্ষোভ করবে জামায়াত  প্রশাসনকে দ্রুততার সাথে বস্তুনিষ্ঠ ব্যবস্থা নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলন আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  যারা আমাকে অপহরণ করেছে তাদের বাংলাদেশি মনে হয়নি জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায় তাহলে ভাগ্যও বদলাবে না: শায়খে চরমোনাই শ্রীমঙ্গলে বেওয়ারিশ কুকুরের আতঙ্ক: এক ঘণ্টায় তিন শিশু আহত ‘দুঃখজনক হলো ইসলামি অঙ্গন থেকে শক্তিশালী মিডিয়া গড়ার উদ্যোক্তা আমরা পাইনি’ ২৪ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি: সারজিস

সরবরাহ সংকটে দাম বাড়ছে চিনির

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম

নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জের পাইকারি বাজারে চিনির দাম বাড়তে শুরু করেছে। ৭ দিনের ব্যবধানে এখানকার বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম সর্বোচ্চ আড়াই টাকা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম কমতির দিকে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের পাইকারি বাজারে পণ্যটির সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে মিল থেকে অপর্যাপ্ত সরবরাহকে দায়ী করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

তাদের দাবি, শবেবরাত ও রমজান সামনে রেখে এখন থেকেই মিলগুলো চিনির মজুদ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এ কারণে পণ্যটির সরবরাহ কমানো হয়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকার কারণে দাম বাড়তে শুরু করেছে চিনির। আগামী দিনগুলোয় সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে পাইকারি পর্যায়ে চিনির দাম আরো বাড়তে পারে বলেও মনে করছেন তারা।

গতকাল নিতাইগঞ্জ বাজারে চিনির পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে ফ্রেশ, সিটি ও আবদুল মোনেম গ্রুপের প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চিনি ২ হাজার ৫৭৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। সে হিসেবে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ে ৫১ টাকা ৫০ পয়সা। এক সপ্তাহ আগেও এসব ব্র্যান্ডের চিনি বস্তাপ্রতি ২ হাজার ৪৫০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছিল। সে হিসেবে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়েছিল ৪৯ টাকা। অর্থাৎ ৭ দিনের ব্যবধানে নিতাইগঞ্জের পাইকারি বাজারে চিনির দাম প্রতি বস্তায় ১২৫ টাকা বেড়েছে।

সে হিসেবে পণ্যটির দাম কেজিতে সর্বোচ্চ আড়াই টাকা বেড়েছে। নিতাইগঞ্জের গোপিনাথ ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী দীলিপ সাহা বলেন, কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম কমতির দিকে। ফলে খাদ্যপণ্যটির পর্যাপ্ত আমদানি হয়েছে। এদিকে বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রয়েছে।

ফলে চিনির সরবরাহ সংকট দেখা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এরপরও মিল থেকে চাহিদা অনুযায়ী চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। সরবরাহ সংকটের যুক্তিতে মিল গেটেই বাড়তি দামে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে। এটা পুরোপুরি অযৌক্তিক। এ কারণে পাইকারি পর্যায়ে চিনির দাম বাড়তে শুরু করেছে। বাড়তি মুনাফার আশায় আসন্ন শবেবরাত ও রমজান সামনে রেখে এখন থেকেই মজুদ বাড়ানোর কারণে বাজারে চিনি সরবরাহ আগের তুলনায় কমে গেছে বলে মনে করছেন তিনি।

স্থানীয় মনির স্টোরের স্বত্বাধিকারী মনির হোসেন বলেন, এক সপ্তাহেই পাইকারি পর্যায়ে চিনির দাম কেজিতে সর্বোচ্চ আড়াই টাকা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।

পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ছে ৫১ টাকার উপরে। পরবর্তীতে খুচরা পর্যায়ে একই চিনি কেজিপ্রতি ৬০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে সরবরাহ সংকটের জের ধরে বাড়তি দামের যুক্তি দেখিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরাও চিনির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ সুগার এন্ড অয়েল মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শংকর সাহা বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে চিনির সরবরাহ সংকট কিংবা দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। এরপরও পণ্যটির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এর পেছনে সরবরাহ সংকটের যুক্তি দেখাচ্ছে মিলগুলো।

এ আসন্ন শবেবরাত ও রমজানের আগে চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারি নজরদারি বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছেন তিনি। এদিকে চিনির সরবরাহ সংকট ও এর জের ধরে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলার জন্য সিটি গ্রুপের একাধিক কর্মকর্তাকে ফোন দেয়া হলেও তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সূত্র: ভোরের কাগজ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ