সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ১০ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাওলানা যাইনুল আবিদীন রচিত ‘আমাদের নবীজি’ গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠিত  রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে যুক্তরাজ্যসহ ১১ দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকে সুকুক বিষয়ে শরিয়াহ প্রস্তাবনা প্রদান হিজাব ও দাড়ি নিয়ে বৈষম্য, জড়িতদের শাস্তি দাবি হেফাজতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ : পীর সাহেব চরমোনাই ফজলুর রহমান সময় চাইলেন ৭ দিন, বিএনপি দিল ২৪ ঘণ্টা দাড়ি রাখায় শাস্তি প্রদান ধর্মীয় অধিকার কেড়ে নেওয়ার শামিল: জমিয়ত ফেসবুকের অন্যায্য আচরণের বিরুদ্ধে জিডি করলেন ইবনে শাইখুল হাদিস অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন: ইসলামী আন্দোলন মহিলা ইউনিট বগুড়ায় সমকামিতা ও এলজিবিটিকিউ এজেন্ডার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

৭ বছরের যুদ্ধে গুড়িয়ে দেয়া সিরিয়া গড়বে কিশোর মুহাম্মদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আতাউর রহমান খসরু: সিরিয়ার সবচেয়ে বিধ্বস্ত নগরী আলেপ্পো। এখানকার জীবন সবচেয়ে অনিশ্চিত। গত ৭ বছর ধরে এখানে বিভিন্ন গোষ্ঠীর যুদ্ধে অধিকাংশ শহর ধ্বংস স্তুপ ও জঞ্জালে পরিণত হয়েছে।

আলেপ্পো অবস্থা সবগুলোর চেয়ে করুণ। কেউ বলতে পারে না কবে সিরিয়ার পুনর্নির্মাণ সম্ভব হবে এবং তা কে করবে।

কিন্তু সিরিয়ান কিশোর মুহাম্মদ আল কুতাইশ স্বপ্ন দেখে আলেপ্পো শহর পুনর্নিমাণের। ১৪ বছরের কিশোর কুতাইশ আলেপ্পো শহরের ভবিষ্যত মডেলও তৈরি করেছে। তার বাবা-মা তাকে স্বপ্নের শহরের রূপরেখা তৈরিতে সাহায্য করছে।

কুতাইশ একজন উদ্বাস্তু ও যুদ্ধাহত প্রতিবন্ধী। কিন্তু তার স্বপ্নে আর কর্মে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।

কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা তার শহরে আধুনিক আলেপ্পোর দেখা পাওয়া যাবে। যাতে রয়েছে রঙিন ভবন, আকাশচুম্বী বিল্ডিং, সবুজ পার্ক, পাহাড়ি উপত্যকা, আধুনিক রেলপথ ও রাস্তা।

আলেপ্পোর পর্যটন স্পটগুলোও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। বোমা বর্ষণের কারণে যা আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

কুতাইশ তার স্বপ্নের শহর গড়ে তুলেছে কাগজ, রঙ-তুলি ও স্পঞ্জ দিয়ে। কিন্তু তার এ অসাম্যান্য প্রচেষ্টা স্থান করে নিয়েছে নিউইয়র্ক জাদুঘরে। অতি শিগগির তা স্থান পাবে লন্ডনের ভিক্টোরিয়া ও আলবার্ড জাদুঘরেও।

কুতাইশের স্বপ্ন যখন সে বড় হবে তখন তার কাগুজে বিল্ডিং সত্যিকার বিল্ডিং হবে। আগামী প্রজন্ম নতুন শহর নির্মাণে অবদান রাখবে। সবাই তাদের উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা করবে।

তার ভাষ্য, যদি কোনো শিশু নতুন কিছু উপহার দিতে চায় তবে তাকে সাহায্য করা উচিৎ।

তার ভাবনা হলো, পরিস্থিতি যাই হোক আমি আমার লেখাপড়া শেষ করবো। আমি কখনো সিরিয়া ছেড়ে যাবো না। আমি যা দেশের বাইরে করতে পারবো তা দেশের ভেতরেও করতে পারবো।

কুতাইশের স্বপ্ন একদিন সে এবং তার প্রজন্মের সিরিয়ান শিশুরা আলেপ্পো শহর পুনর্নির্মাণ করবে।

সূত্র: mvslim.com

ইসলাম নিয়ে পিউ রিসার্চের গবেষণার অজানা ৫ তথ্য


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ