মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫ ।। ১১ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭


রান্নায় বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশকে তুলে ধরছেন শেফ মনিরুল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ফুড প্রোগ্রামসহ নানা প্রোগ্রামে বাংলাদেশি শেফ হিসেবে বাংলাদেশি রান্না উপস্থাপন করে দেশের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে তুলে ধরছেন শেফ মনিরুল ইসলাম। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশের বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হচ্ছে তার রেসিপি। তার রান্না।

সম্প্রতি ভারতের আকাশ আট টিভির একটি স্পেশাল রান্না পর্বে অংশগ্রহণ করে এলেন বাংলাদেশের রন্ধনশিল্পী মনিরুল ইসলাম। ‘একদিন ইউটিউবে ইন্ডিয়ান ফুডের কিছু রেসিপি দেখতে পেলাম আকাশ আট টিভির রাধুনী রান্নাঘরে। তারপর ওদের লিংকে গেলাম। দেখলাম অনেক নামি দামি শেফরা ওদের কিচেনে কাজ করেন। আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। তারা আমার প্রোফাইল জানতে চাইলো। আমি দিলাম।
তারা এরপর আমাকে আমন্ত্রণ জানালো। আমি তিনটি ডিশ করেছি সেখানে। শুটিং শেষে পুরো ইউনিট আমার রান্নার প্রশংসা করে হাতে তালি দিয়েছিল।” আকাশ আট টিভির বিশেষ রান্না অনুষ্ঠানটি শেফ মনিরুল ইসলাম করেছিলেন ‘সুইট অ্যান্ড সোউর ফিস অন ফায়ার, মেক্সিকান ওমলেট অ্যান্ড চিকেন স্নিজল।
মনিরুল ইসলামের বর্তমান আর অতীত কিন্তু একরকম ছিল না। শেফ হিসেবে নিজেকে দাঁড় করাতে তাকে অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। ২০০৪ সালে নিজের চলার খরচ মেটাতে একটি রেস্টুরেন্টে কিচেন হেলপার হিসেবে যোগ দেন মনিরুল ইসলাম।  সি ফুড অ্যান্ড স্টেক হাউসে তিনি ‘ডিশ ওয়াশার’ হিসেবে কাজ করতেন। সেই রেস্টুরেন্টেই তার শেফ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। রেস্টুরেন্টে অন্য শেফদের অনুপস্থিতিতে ওভেনে দায়িত্ব পালন করতেন।
এরপর শুরু করেন শেফ বিষয়ক পড়াশোনা। সিডনির কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোর্স করেন। ২০০৮ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের টেফ ইন্সটিটিউট এর সম্মানজনক শেফ সার্টিফিকেট অর্জন করেন। তারপর কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বারিস্তা, ফুড চেইন ডেভিড জোনস-এ। ২০১৫ সালে কলম্বোতে ইন্টারন্যাশনাল হোটেল ম্যানেজমেন্ট কনফারেন্সে ২২টি দেশের মধ্যে মনিরুল ইসলাম একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
২০১২ সালে দেশে ফিরে  কাজ করেছেন রেডিসনসহ বেশকিছু পাঁচতারা হোটেলে। তারপর নিজের জন্মস্থান চট্টগ্রামে ২০১৪ সালের শেষের দিকে শুরু করেন নিজের হোটেল ‘লেমনগ্রাস’। দুই শতাধিক মেন্যুর এই রেস্টুরেন্টটি ইতোমধ্যেই খাদ্যপ্রেমীদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিচ্ছে। নিয়মিত মেন্যুর পাশাপাশি নিজের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান ব্যবহার করে খাদ্যপ্রেমীদের নিত্যনতুন চমক উপহার দিচ্ছেন মনিরুল ইসলাম। বর্তমানে চট্টগ্রামে তার নিজস্ব ৩টি রেস্তোরা চালু আছে।
চট্টগ্রাম গলফ ক্লাবে একটি পাঁচ তারকা রেস্তোরার কাজ চলছে। রেস্তোরাটির কিচেন সেটআপ করে দিচ্ছেন মনিরুল ইসলাম। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক তারকার জন্য নিয়মিত রান্না করে থাকেন মনিরুল।
-এজেড


সম্পর্কিত খবর