বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ কক্সবাজারের ওবায়দুল করিম আমরা কোরআনকে জাতীয় সংসদে নিয়ে যেতে চাই: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে শনিবার বিক্ষোভ করবে জামায়াত  প্রশাসনকে দ্রুততার সাথে বস্তুনিষ্ঠ ব্যবস্থা নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলন আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  যারা আমাকে অপহরণ করেছে তাদের বাংলাদেশি মনে হয়নি জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায় তাহলে ভাগ্যও বদলাবে না: শায়খে চরমোনাই শ্রীমঙ্গলে বেওয়ারিশ কুকুরের আতঙ্ক: এক ঘণ্টায় তিন শিশু আহত ‘দুঃখজনক হলো ইসলামি অঙ্গন থেকে শক্তিশালী মিডিয়া গড়ার উদ্যোক্তা আমরা পাইনি’ ২৪ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি: সারজিস

ইমরান এইচ সরকারকে খোলা চিঠি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের

ইমরান এইচ সরকার, তুমি ও তোমার গণজাগরণ মঞ্চ আজ পথভ্রষ্টদের দলে। পথভ্রষ্ট মানুষের পেছনে কেউ হাঁটে না। এ কারণেই তোমাদের একাংশ বহু আগেই তোমাদের পরিত্যাগ করেছে।

তুমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী, যা এই জাতি বুঝে গেছে। গণজাগরণ মঞ্চের নাম করে হাতিয়ে নিয়েছো কোটি কোটি টাকা। রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছো। আর এও শোনা যায় যে, তোমার দাদা না বাবা যেন রাজাকারও ছিল। আর তুমিই কিনা চেতনা নিয়ে ব্যবসা করেছো! আজ তোমার ফাঁদে তুমিই পড়েছো বলেই চারদিকে তোমাকে প্রতিরোধের ডাক।

তুমি সনাতন নামের যে পরগাছাকে স্লোগানের হুকুম দিয়েছ, তার স্লোগানে আমি পৈশাচিক আনন্দের ছাপ দেখেছি। আমি কিভাবে ভুলে যাবো তার কর্কশ কণ্ঠ শুধু হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে।

তারপরও আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ধৈর্যধারণ করেছি, যেন তোমরা বলতে না পারো যে, এ সরকার মুক্তমনাদের বিপক্ষে। তোমার ক্ষমার অযোগ্য এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ ও মামলা করেছি।

জানো তো, গ্লাস কাটতে হীরা লাগে, কিন্তু ভাঙতে গেলে টোকা দিলেই যথেষ্ট। যে কাচের ঘরে বাস করছো সে ঘরের নিরাপত্তা দিয়ে কে তোমাদের এখনো আগলে রেখেছে? তিনি মমতাময়ী জননী, জননেত্রী, স্নেহময়ী ভগিনী যাই বলি না কেন, কম হয়ে যাবে ।

[ইমরান এইচ সরকারকে ‘কুত্তার মতো’ পেটানো হবে: ছাত্রলীগ]

তুমি জানো তো, এ দলের প্রতিটি নেতাকর্মী যাকে মা, আপা বলে ডাকে, তাদের মধ্যে যে কেউ তোমার ও সনাতনের উপর প্রতিশোধ নিয়ে হাসিমুখে ফাঁসির দড়ি গলায় পরতে পারে। হ্যাঁ, পারে শুধু তার মমতাময়ী জননীর সম্মান রক্ষা করার জন্য। আর তোমরা কিনা তাঁকেই অন্যায়ভাবে অসম্মানিত করো!

গণজাগরণ মঞ্চের সেই দিনগুলোতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঐক্যে রাত জেগে তোমাদের পাহারা দিয়েছিল বলে ভেবো না যে, তোমাদের এই ভুলের জন্যও মাফ করে দেবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রশ্নে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা কর্মী আপসহীন ।

নিজেদের ভুল স্বীকার করে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অবিলম্বে ক্ষমা চাও। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে ব্যবসা করার জন্য জাতির কাছে মাফ চেয়ে মুচলেকা দাও।

মামলা ও আইন চলবে তার নিজস্ব গতিতে। ভেবো না তোমার শ্বশুর মশাই আবারো তোমায় পার করে দিতে পারবে। জানো তো, বাঘে ধরলে ছাড়ে, কিন্তু জাতির জনক ও প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে ছাত্রলীগ তাকে আর ছাড়ে না।

রাখাল আর বাঘের গল্পটা মনে আছে তো? মাইন্ড ইট……

লেখক : সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ