বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

বিয়ের আড়ম্বরতাকেও ছাড়াচ্ছে মিলাদুন্নবি উদযাপন; জনমনে উদ্বেগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

eid_miladunnabi

দিদার শফিক: পাকিস্তানে ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপন উপলক্ষ্যে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এ প্রস্তুতি বিয়ের জাকজমকতার পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। জনমনে এই নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। কারণ মানুষ ক্রমেই সহিহ ইসলাম থেকে সরে মনগড়া মতবাদে ভিড়ছে।

পাকিস্তানের দৈনিক জং জানিয়েছে তাদের দেশে এবার মিলাদুন্নবীর আনুষ্ঠানিকতা বিয়ের আড়ম্বরতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। পাকিস্তানের একটি শহরে ১২ হাজার পাউন্ডের কেক তৈরি করা হয়েছে। এক শহরে ১২শ দুম্বা ও বকরি জবেহ করার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও র‌্যালি–শোভাযাত্রা তো আছেই।

পত্রিকাটির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিলাদুন্নবী সা. উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন মসজিদ ও প্রাসাদগুলোকে নানান রঙের আলোকবাতিতে সজ্জিত করা হচ্ছে। মুলতানে ৭৫ ফিট লম্বা এবং ৭ ফিট চওড়া ও ১২ হাজার পাউন্ড ওজনের কেক প্রস্তুত করা হয়েছে। ৮ জন কর্মী ১২ দিনে এই কেক তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছেন। চেমনে সাহেবে আগা দরবারে ১২শ দুম্বা ও বকরি কুরবানি করা হবে। দরবারটিতে ১ হাজার ডেগ পোলাও রান্না করা হবে বলে জানা গেছে। রহিম ইয়ার খানের বিভিন্ন গলি ও মহল্লায় সবুজ পতাকা উড়ানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থান ও বাজারসমূহ বৈদ্যতিক ঝাড়বাতিতে সুসজ্জিত করা হয়েছে।’

Image result for pakistan eid e miladunnabi

এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে দিনদিন উদ্বেগ বাড়ছেই। কারণ মিলাদুন্নবী পালন সূচনালগ্ন থেকেই বিরোধপূর্ণ। হাদিস বা পরবর্তী যুগের কোনো কিতাবে এসবের ভিত্তি নেই। আওয়ালিয়া কেরমাগণও এসব পালন করেনি কখনো। তার এ দিন উপলক্ষ্যে রোজা রাখা, দোয়া দরুদ পড়াসহ সিরাতের চর্চা করেছেন বেশি বেশি।

হক্কানি আলেমরা বললেন, মিলাদুন্নবী সা. নামে এ ধরনের ভোজসভা ইসলামে বর্জনীয়। নবীজি বরং এ দিনে মুসলমানদের রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যা সহিহ হাদিসে বর্ণিত রয়েছে।

তাদের মতে, পরিমিতিবোধের সীমায় থেকে কেবল রাসুলের জীবন, কর্ম ও আদর্শের আলোচনার মাধ্যমে চর্চা ও অনুসরণের চেতনাকে উজ্জীবিত করা যেতে পারে। কিন্তু হালে রাসুল প্রেমে নাম ফাটানো ভোজানুষ্ঠান ও লোক দেখানো সভা উদযাপনের মধ্যে আটকে গিয়ে সিরাত চর্চার মূল চেতনাকে হারিয়ে ফেলছে নবির উম্মতগণ। যা মানুষকে ইসলাম থেকে বাইরে নিচ্ছে দিন দিন।

আরআর

এই খবরটিও পড়ুন: জার্মানিতে শরণার্থীদের খ্রিস্টান হওয়ার হিড়িক; কারণ কী?


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ