বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

১৫ দিন না খেয়ে মারা গেল রোহিঙ্গা শিশু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

cox-teknafআওয়ার ইসলাম: মিয়ানমার থেকে নৌকায় ভেসে টেকনাফে এসেছিলেন এক মা। সঙ্গে ৫ মাসের এক শিশু। বহু কষ্টে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার পর নতুন করে স্বপ্ন দেখছিলেন মা। হয়তো বাঁচাতে পারবেন ছেলেকে। কিন্তু সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। টানা ১৫ দিন না খেয়ে মারা গেছে তার কোলের সেই শিশু।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) ভোরে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে (স্থানীয় ভাষায় টাল) শিশুটির মৃত্যু হয়। বিকালে স্থানীয় একটি কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

এলাকাবাসী বলছেন, শিশুটি প্রয়োজনীয় খাবার, চিকিৎসা ও শীতবস্ত্র না পেয়ে মারা যায়।

শিশুটির মা নুর বেগম জানান, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনীর নির্মম অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে প্রাণ বাঁচাতে একমাত্র শিশুপুত্র জানে আলম ও অবিবাহিত এক বোনকে নিয়ে তিনি নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে সীমান্ত পাড়ি দেন।

তিনি আরও জানান, গত ২০ দিন আগে স্বামী জামাল হোসেনকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। অপর ২ শিশুপুত্র মো. হাশিম (৫) এবং জাফর আলমকেও (৩) জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়।

অবশেষে জীবন রক্ষার্থে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাংঘাট দিয়ে ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাংলাদেশে ঢুকে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে (স্থানীয় ভাষায় টাল) আশ্রয় নেয়।

অসহায় মা নুর বেগম আরও জানান, অর্ধাহারে-অনাহারে বনে-জঙ্গলে দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বুকের দুধ শুকিয়ে গিয়েছিল।

অনাহারে শিশুটি কঙ্কালসার হয়ে যায়। উপরন্ত ছিল তীব্র শীত। সঙ্গে কোনো গরম কাপড়ও ছিলো না। চিকিৎসা করারও সুযোগ হয়নি। তার কুলেই বিনা চিকিৎসায় শিশুটি মারা যায়। নুর বেগম বর্তমানে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের (অনিবন্ধিত) ‘এ’ ব্লকের একটি বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন।

লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ মো. আয়ুব জানান শনিবার (২৬ নভেম্বর) পর্যন্ত শুধু লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই ২ হাজারেরও বেশি অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা নারী-শিশু এবং স্বল্প সংখ্যক পুরুষ স্ব-স্ব আত্মীয়-স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে।ে

আরআর

http://ourislam24.com/2016/11/27/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AC-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%AA/

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ