সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বৈরুতে ইসরাইলি ড্রোন হামলা, বহু হতাহতের আশঙ্কা ‘পাকিস্তানের পক্ষে ২ কোটি শিখ’, ভারতকে হুঁশিয়ারি খালিস্তানি নেতার জামায়াতের সাথে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হজসেবায় অত্যাধুনিক মোবাইল অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ চালু হচ্ছে সোমবার  নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন তসলিমা নাসরিনের দোসর : আমিরে মজলিস দাওরায়ে হাদিস পাসে চাকরি দিচ্ছে বোনাফাইড টেক্সটাইল ইসলামি দলগুলোর নির্বাহী কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা দরকার সংস্কার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না : খেলাফত আন্দোলন ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার যে সূচনা হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে’ ‘ইসলামীবিরোধী নারী কমিশন বাতিল করতে হবে’

মাওলানা তর্কবাগীশের মৃত্যুবার্ষিকী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

torkaআওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সলঙ্গা বিদ্রোহের মহানায়ক মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

ভাষা আন্দোলনের প্রাণপুরুষ, দেশ ও জাতির প্রয়োজনে অকুতোভয় যোদ্ধা এবং গণমানুষের নেতা মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশের ১৯৮৬ সালের ২০ আগস্ট শনিবার ইন্তেকাল করেন।

১৯৮৬ সালের এইদিনে তৎকালীন ঢাকা পিজি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। যথাযোগ্য মর্যাদায় তার মৃত্যুবার্ষিকী পালনে নানা কর্মসূচি নিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।  কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে প্রত্যুষ্যে মরহুমের মাজারে পুষ্পস্তর্বক অর্পণ, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া খায়ের।

এ ছাড়াও সিরাজগঞ্জে মাওলানা তর্কবাগীশ গবেষণা কেন্দ্র, রায়গঞ্জের বেগম নুরুন্নাহার তর্কবাগীশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সলঙ্গা থানার চড়িয়া মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ বিজ্ঞান মাদ্রাসা, পাটধারী মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ উচ্চ বিদ্যালয়, সলঙ্গা মাওলানা তর্কবাগীশ পাঠাগার, মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথকভাবে নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।

মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ ছিলেন আজীবন সংগ্রামী মানুষ। ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি তার নেতৃত্বে বিলেতি পণ্য বর্জন আন্দোলনে সলঙ্গা হাটে বিট্রিশ পুলিশের গুলিতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ শহীদ হয়।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ১৯৫৫ সালে ১২ আগষ্ট পাকিস্তানের গণ-পরিষদে রাষ্টীয় ভাষা বাংলার দাবীতে তিনিই প্রথম বাংলা ভাষায় বক্তব্য রাখেন, ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ সালের গণঅভ্যূত্থান এবং ৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অনন্য অবদান যুগ যুগ ধরে মুক্তিকামী মুসলিম জাতিকে স্বাধীকার আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করবে।

স্বাধীনতার পর তারই প্রচেষ্টায় মাদ্রাসা শিক্ষা পুনরায় চালু হয়। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি প্রথম মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকীকরণ ও একে বিজ্ঞান সম্মত রূপদান, ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি বেতার ও টেলিভিশনে কোরআন তেলাওয়াতের নিয়ম চালু করেন। এছাড়া তিনি কৃষক আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলনসহ দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে সকল মুক্তির আন্দোলনে সরাসরি সামনে থেকে জাতীর অধিকার আদায়ে সর্বদা সচেষ্ট থেকেছেন আজীবন। স্বীয় মেধা প্রজ্ঞা ও যুক্তি দিয়ে ইসলাম ও মুসলিম জাতি জাগরণে তিনি আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন।

মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ ১৯০০ সালের ২৭ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার তারুটিয়া গ্রামের এক পীর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

মাওলানা তর্কবাগীশকে জানতে পড়ুন


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ