সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
তিন পুরুষের জমিয়ত উত্তরসূরী মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী আজ হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা হেফাজতের খুলনা মহানগরী সভাপতি মাওলানা সাখাওয়াত, সম্পাদক গোলামুর রহমান যুদ্ধের মাঝে যৌথ অস্ত্র উৎপাদন: ভারত-ইসরায়েল সামরিক সম্পর্কের বিবর্তন তাকওয়ার ছায়ায় মানবসভ্যতার বিকাশ ‘মানুষের ক্ষুধা নিবারণ না করতে পারলে সংস্কার-নির্বাচন ভেস্তে যাবে’ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির সভা ৩ মে’র মহাসমাবেশ সফল করতে বগুড়ায় হেফাজতের মতবিনিময় সভা ২৭ খণ্ডের ‘ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ’ অনুবাদ করাচ্ছে সরকার ভারতের প্রসিদ্ধ আলেম স্যাইয়িদ আকীল মাজাহিরির ইন্তেকালে জমিয়তের শোক

ঢাকায় ফ্রি খাবার; আপনিও খেতে পারেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

khabar2

সৈয়দ সাইফুল ইসলাম শোভন

ঢাকায় টাকা উড়ে। শুধুই কি টাকা?

এই ঢাকায় টাকায় কত কি যে পাওয়া যায় তার হিসেব নেই। টাকা হলে বাঘের দুধ মিলে। কিন্তু টাকা না হলেও অনেক কিছু ঢাকায় মিলে, যেমন খাবার। বিনামূল্যে খাবার, মাগনা খাবার।

প্রতিদিন ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে খাবার পাওয়া যায়। কোথাও ভাত-ডাল-সবজি, কোথাও তেহারী, কেথাও খিচুরী।

ধানমন্ডিতে যদি কোনদিন দুপুরে খাবারের সংকটে পড়েন তবে সাত মসজিদ রোডের আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনের মেহমানখানার অতিথি হতে পারেন। শংকর থেকে ১৫ নাম্বার যাওয়ার পথে আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনের অফিস। গতকাল আমি গিয়েছিলাম।

প্রতিদিন এখানে প্রায় হাজার দুই লোক দুপুরের খাবার খায়। যত খুশি তত খাও এই খাবার। কোন বাধা নেই। সারি সারি প্লেট সাজানো, পানির ট্যাংক, গ্লাস। হাত মুখ ধুয়ে। নাও আর খাও।

পোশাক আপনার যাই হোক না কেন? শেখ সাদীর মত আপনাকে এখানে বিব্রত হতে হবে না । এই মেহমানখানায় মেহমান হিসেবে সবাই সমান। পেটপুরে খেয়ে বাড়িতে নেওয়ার জন্য যদি আবদার করেন। তবে তাও রাজি মেহমানখানার লোকরা । আপনাকে পূণ আপ্যায়নেই নাকি তাদের পরিতৃপ্তি।

khabar3

আমি গিয়েছিলাম গাজী আহমদ উল্লা ভাইয়ের রুমে। কেন এই খাবার? প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই বলল। আগে একটু খেয়ে নিন, তারপর প্রশ্নের উত্তর।

আমরা পেটপুরে খিচুড়ী খেয়ে আবার জানতে চাইলাম।

কেন এই খাবার? প্রতিদিন হাজার হাজার লোক আমাদের এখানে খেতে আসে। আমরা তাদের মেহমানদারী করতে পারি। তাতেই কতৃপক্ষের সন্তুষ্টি।

রাস্তায় নেমে কথা বলি কয়েকজন রিকশা চালক, ভবঘুরে মানুষের সাথে খাবার কেমন?

উত্তর একটাই স্বাদে ও মানে ঢাকার যে কোন খাবার দোকানকে পিছনে ফেলে দিবে ।

এবার আপনার পালা । চাইলেই গ্রহণ করতে পারেন তাদের আপ্যায়ন।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ