রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ ।। ৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৬ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আরও এক পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত ইরানকে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা দেবে রাশিয়া: পুতিন খেলাফত মজলিসের রংপুর বিভাগীয় তরবিয়তি সভা উত্তরসূরিদের নাম ঘোষণা করলেন খামেনি ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইরানের ড্রোন হামলা, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করে বিস্ময় সৃষ্টি আধিপত্যবাদ মোকাবেলায় ইসলামি শক্তির ঐক্য অপরিহার্য: ইবনে শাইখুল হাদিস পৃথিবীর শান্তি ও মানবতা ধ্বংস করছে ইসরায়েল, পতন অনিবার্য: হেফাজত  যে মাওলানার কাছে ভরাডুবি হয়েছিল সেই ফজলুর রহমানের হল না ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঢামেক শিক্ষার্থীদের, আন্দোলন চলবে

আপনি পূর্ণ মুমিন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

mumin

সিয়াম বিন আহমাদ; আওয়ার ইসলাম

কবির ভাষায়, ‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।’ বর্ষাকাল। চারপাশে ভয়াবহ বন্যা। ভাবতেই শরীরটা কাঁটা দিয়ে ওঠে। নাড়া দিয়ে ওঠে মন। কেঁপে ওঠে হৃদয়। পল্লী গাঁয়ের জল কাঁদা মেখেই এত বড় হয়েছি। বন্যায় খুব কাছ থেকে দেখেছি আপনজনের কান্না। প্রতিবেশীর হাহাকার। ক্ষুধা কাকে বলে জেনেছি বারেবারে। পিপাসা কি সেটাও বুঝেছি হারেহারে ।

আজ পানিতে তলিয়ে গেছে মাঠ- ঘাট, ডুবে গেছে গ্রামগঞ্জ। পেট পুরে খাওয়া তো দূরের কথা একটু দাঁড়ানোর জায়গা নেই ওদের। দিন যায় যায় করে নেমে পরছে রাত। চোখটি বুজে স্বপ্নেও দেখা মিলছেনা একটু স্বার্থপর সুখের। আজ এখানে বসে আছে কাল এখানে বসতে পারবে কিনা, এটাই এবেলা চিন্তার বিষয়।ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েরা কেঁদে যাচ্ছে সারাক্ষণ। পত্র পত্রিকা খুললেই চোখে পরে বন্যা কবলিত মানুষের সাহায্যের আহবান। এগিয়ে আসুন, তাদের পাশে দাঁড়ান ইত্যাদি।

শিরোনামগুলো দেখে চোখটা সিক্ত হয়। পুরো লেখাটা পড়ে মুসকি হাসি। জানিনা এটা কিসের হাসি। মান, অভিমান, রাগ নাকি ক্ষোপ। বা এগুলো কার সাথে? আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলোর হেড লাইন, রেড লাইন দেখে ভাববেন না বন্যা কবলিত মানুষগুলো পর্যাপ্ত সাহায্য পাচ্ছে। প্রতিদিন কম হলেও তো জুটছে একমুঠো চিড়ে-গুড়। এমনটা ভাবার সুযোগ নেই, নেই সময়। তাই আসুন আমিও এগিয়ে যাই গরীব,দুঃখী, অনাহারী মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াই। এটা যে আমারো দায়িত্ব। ঈমানী কর্তব্য।

রাসূল সাঃ বলেন, ঐ ব্যক্তি পূর্ণ মুমিন নয়, যে নিজে পেট পুরে খায় আর তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি আমরা, তুমি তোমরা এটাকে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করে, প্রতিবেশীর পাশে গিয়ে না দাঁড়াবো ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষুধার্থ পেটগুলো চোঁচো করবে। মনে রেখো! এগুলো কারো একার কাজ নয় এমনকি একার পক্ষে সম্ভবও নয়। আমার জন্য যদি একটা মানুষের ক্ষুধামুখে একবেলা হাসি ফোটে, দিতে পারে একটা বস্ত্রহীন মানুষ বস্ত্র গায়। এটা কি সৌভাগ্যের কথা নয়। আজকের এই সমাজে এমন একজনকে নয় হাজারো তরুণ,যুবককে রাসূল সাঃ এর আদর্শে উপনীত হয়ে এদলে নাম লেখাতে হবে।

প্রস্তুত হতে হবে, প্রস্তুত থাকতে হবে সর্বদা। প্রতিবেশীর বিপদে আপদে সাহায্য সহযোগিতায় ব্রতী হয়ে এগিয়ে আসতে হবে আমাকে, আমাদেরকেই। আর এটা করতে হবে একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্ট অর্জন করার নিমিত্তে। তাহলেই মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের গায়েবী ভাবে সাহায্য করবেন। কারণ আমরা জয়ীফ আমাদের কারো পক্ষেই সম্ভব নয় কাউকে সাহায্য করা। যদি তিনি তাওফীক না দেন।

তাহলে আসুন, আমরা একনিষ্ঠ মন নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হই। এভাবে সবাই এগিয়ে এলেই আমাদের সমাজে নেমে আসবে শান্তি সুখের একঝাঁক সাদা পায়রা।

সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ