রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ ।। ৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৬ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আরও এক পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত ইরানকে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা দেবে রাশিয়া: পুতিন খেলাফত মজলিসের রংপুর বিভাগীয় তরবিয়তি সভা উত্তরসূরিদের নাম ঘোষণা করলেন খামেনি ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইরানের ড্রোন হামলা, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করে বিস্ময় সৃষ্টি আধিপত্যবাদ মোকাবেলায় ইসলামি শক্তির ঐক্য অপরিহার্য: ইবনে শাইখুল হাদিস পৃথিবীর শান্তি ও মানবতা ধ্বংস করছে ইসরায়েল, পতন অনিবার্য: হেফাজত  যে মাওলানার কাছে ভরাডুবি হয়েছিল সেই ফজলুর রহমানের হল না ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঢামেক শিক্ষার্থীদের, আন্দোলন চলবে

ফুটবলের দেশে ইসলাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

1465378286ওয়ালি খান রাজু : ব্রাজিল নামটা শুনলেই ফুটবলের নাম মাথায় আসে। পেলে, জিকো, রোনালদো, রিভালদো, নেইমার ব্রাজিলকে দুনিয়াব্যাপী ফুটবল দিয়েই পরিচিত করিয়েছেন। ফুটবল ছাড়াও ব্রাজিলের রয়েছে সমৃদ্ধশালী অর্থনীতি।

ভবিষ্যৎ বিশ্বকে নেতৃৃত্ব দিতে পারে এমন কয়টি দেশের মধ্যে ব্রাজিল অন্যতম। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে রমজান, ঈদ এসব কি হয় তা হয়ত অনেকের কৌতুহলী মনে প্রশ্ন জাগতে পারে।

আমাজনের দেশ ব্রাজিলে রয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ মুসলিম। ব্রাজিলে ইসলাম এসেছে আরব, আফ্রিকান, লেবানীজ, সিরিয় মুসলিমদের হাত ধরে। ব্রাজিলে ইসলাম প্রচার প্রসারে যাদের অবদান অপরিসীম তারা হলেন, আফ্রিকান বাহিয়ারা।

উল্লেখ্য, যে উনবিংশ শতাব্দীতে আফ্রিকান মুসলিমরা বাহিয়া নামে পরিচিত ছিল। ব্রাজিল ছিল পর্তুগীজদের কলোনি। পর্তুগিজ ডাকাতদের স্বর্গরাজ্য ছিল আজকের ব্রাজিল, পর্তুগীজরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আফ্রিকানদের ধরে আনত ব্রাজিলে আখ চাষের জন্য আর তাদের দাস বানাত, আর এসব আফ্রিকান দাসরা অধিকাংশই ছিল মুসলিম। দাসদের মানুষই মনে করত না পর্তুগীজ লাটসাহেবরা, এসব দাসদের উপর চলত অকথ্য নির্যাতন, আফ্রিকান মুসলিম দাসরা তখন ইসলামের সুমহান সাম্য, সমতা আর শ্রমিক মর্যাদার বাণী সারা ব্রাজিল ব্যাপী ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন।

১৮০০ শতাব্দীতে আফ্রিকান দাসদের হাত ধরে স্বাধীনতার জন্য দাস বিদ্রোহের ডাক আসে আর এই বিদ্রোহের নেতৃত্বে অনেক মুসলিমই নেতৃত্বে ছিল বলে ইতিহাস আমাদের জানায়। ১৯০০ সালে ব্রাজিলে মুসলিম সংখ্যা ১ লাখে রুপ নেয় আর ২০১০ সালের জরীপ অনুযায়ী সেই সংখ্যা এখন দশ লক্ষতে রুপ নিয়েছে। বর্তমান ব্রাজিলে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম এখন ইসলাম। ফুটবলের দেশে সাও পাওলো আর রিও ডি জেনিরো মুসলিম অধ্যুষিত শহর। রিও ডি জেনিরোতে রয়েছে বৃহৎ ইসলামিক সেন্টার, ইসলামিক স্কুল, অনেকগুলু বড় মসজিদ। সাও পাওলোতেও রয়েছে বিশাল মুসলিম কমিউনিটি। এছাড়া আরেক শহর পারানাতে রয়েছে উল্লেখযোগ্য মুসলিম সম্প্রদায়।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রভাষা পর্তুগীজ তাই ব্রাজিলিয়ানদের কুরআন পড়তে সুবিধার্থে পর্তুগীজ ভাষায় কুরআন অনুবাদ করা হচ্ছে। এর জন্য সাওপাওলো তে রয়েছে একটি কুরআন অনুবাদ সেন্টার। ব্রাজিলের মুসলিমরা কর্মক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই। সংবাদ মাধ্যম, ফুটবল, স্কুল শিক্ষকতা, সাহিত্য চর্চায় অনেক মুসলিমের নামই উল্লেখযোগ্য।

ফ্যাবিও কারভালহো, মার্সিও সুজা দ্যা সিলভা এ দুইজন মুসলিম ব্রাজিলের ফুটবল জগতে নাম করেছেন। এছাড়া জিহাদ খুরদি সার্ফিংয়ে এবং ওয়ালিদ ইসমাইল মার্শাল আর্টে ব্রাজিলিয়ান মুসলিম হিসেবে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করেছেন।

রমজান মাস আসলে ব্রাজিলের মুসলিমরা একসাথে তারাবীহ, ইফতার সম্পন্ন করেন। রমজান মাসে ব্রাজিলের মুসলিম পরিবারগুলোতে উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ