বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫ ।। ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আন্দোলনরত ৮ দলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে আংশিক পরিবর্তন বিশ্ব পাইলস দিবস : কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে জটিলতা—সমাধানে সচেতন ও পরিকল্পিত জীবনধারা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহালের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে - খেলাফত মজলিস  ‘আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি’র অভিযোগে মানিকগঞ্জের বাউল শিল্পী ডিবি হেফাজতে হাসিনা-কামালকে ফিরিয়ে দিতে ভারতকে চিঠি দিতে যাচ্ছে সরকার বন্ধ হচ্ছে ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় শিশুদের ফেসবুক, টিকটক ব্যবহার নেপালে আবার জেন-জিদের বিক্ষোভ, কারফিউ জারি বিদেশীদের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের চুক্তির বিষয়গুলো প্রকাশ করুন - খেলাফত মজলিস আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনর্বহাল একটি মাইলফলক -ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রবর্তনের রায়—সরকার ও জনগণের বিজয়: নেজামে ইসলাম

মসজিদে ঈদের নামাজে ১৩ শর্ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: করোনার মধ্যে দ্বিতীয় ঈদ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগস্ট মাসের প্রথম দিনের সকালেই অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল আজহা।

এবার করোনার মধ্যে ঈদের নামাজের জন্য বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ঈদগা ময়দান, খোলা মাঠ বা উন্মুক্ত স্থানে নয় মসজিদেই এবার ঈদুল আজহার নামাজ পড়তে হবে। পাশাপাশি একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি নির্দেশানা জারি করেছে। নির্দেশনায় ১৩টি শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে:

১. করোনাভাইরাস পরিস্থিতিজনিত কারণে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদুল আজহার জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে কাছের মসজিদে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত আদায় করা যাবে।

২. জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

৩. প্রত্যেককে বাসা থেকে অজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৪. মসজিদে অজুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৫. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।

৬. জামাতে আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

৮. শিশু, বৃদ্ধ, যেকোনো ধরনের অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করবেন না।

৯. স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

১০. জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

১১. নামাজ শেষে খতিব ও ইমামরা মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া চাইবেন।

১২. খতিব, ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

১৩. কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটি এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ