শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
গণভোটের মাধ্যমেই জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি দিতে হবে: ড. আহমদ আবদুল কাদের শ্রমিক মজলিসের সেমিনার অনুষ্ঠিত কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণার দাবি মুরাদনগর উপজেলা জমিয়তের নামাজ চলাকালীন গান-বাজনার মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে: মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী  পিআরসহ ৫ দফা দাবীতে ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় শহরে গণমিছিল পিআর পদ্ধতিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে: পীর সাহেব চরমোনাই ‘পিআর পদ্ধতির নির্বাচন আদায়ে শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করবে ইসলামী আন্দোলন’ জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নির্বাচনী তফসিলের পূর্বেই গণভোট দিতে হবে: নেজামে ইসলাম পার্টি লালবাগ কেল্লায় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে গ্রুপ মেডিটেশন ও ইয়োগা অনুষ্ঠান ইসরায়েলি সেনারা সরছে, নিজ ভূমিতে ফিরছে ফিলিস্তিনিরা

রেড জোন এলাকায় আবারও ঘরে নামাজ আদায়ের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিশ্বব্যাপি প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ভয়াবহ মহামারী আকার ধারণ করায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ০৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশের সাধারণ জনসাধারণের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে ইবাদত/উপাসনা করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।

পরবর্তীতে ০৬ মে ২০২০ তারিখের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উক্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে মসজিদসমূহে সুস্থ মুসল্লীদের উপস্থিতিতে জামায়াতে নামাযের অনুমতি প্রদান করা হয়।

বর্তমান বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত অবনতিশীল হচ্ছে এবং সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগের চলমান ঝুঁকি বিবেচনায় দেশের যে কোন ছোট বা বড় এলাকাকে লাল, হলুদ বা সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে কিছু এলাকায় প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। গত ১২ জুন ২০২০ তারিখে মাননীয় মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় লালজোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে সর্বসাধারণের আগমন বন্ধ রাখার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সকলের সঙ্গে পরামর্শক্রমে লালজোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে সাধারণ জনসাধারণের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ইবাদত/উপাসনার বিষয়ে নিম্নোক্ত নির্দেশ প্রদান করা হলো:

১. ভয়ানক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে লালজোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদের খতীব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ ব্যতীত অন্য সকল মুসুল্লীকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামায আদায় এবং জুমআর জামায়াতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে যোহরের নামায আদায়ের নির্দেশ দেয়াযাচ্ছে।

২. উল্লিখিত এলাকাসমূহে মসজিদে জামায়াত চালু রাখার প্রয়োজনেসম্মানিত খতিব,ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ পাঁচ ওয়াক্তের নামাযে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অনধিক ৫ জন এবং জুমআর জামায়াতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাহিরের কোন মুসল্লী মসজিদের ভিতরে জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

৩. একই সাথে উল্লিখিত এলাকাসমূহেঅন্যান্য ধর্মের অনুসারীদেরকে স্ব স্ব উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।

৪. এ সময়ে সারাদেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলীগি তালীম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না।সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, যিকির ও দুআর মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।

৫. অন্যান্য ধর্মের অনুসারীগণও এ সময়েকোন ধর্মীয় বা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না।

৪। সকল ধর্মের মূলনীতির আলোকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই নির্দেশনা জারি করা হলো। উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ধমীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানানো হলো। কোন প্রতিষ্ঠানে উক্ত সরকারি নির্দেশ লংঘিত হলে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জারিকৃত আজ এক জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে এ সকল নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ