মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ভূমিকম্পে ঝুঁকি: প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার নতুন আইনে বাতিল হচ্ছে অসংখ্য দলিল, রয়েছে জেল ও অর্থদণ্ড কেবল কিতাবি জ্ঞানে একজন শিক্ষার্থী সমৃদ্ধ হতে পারে না: ইকরা প্রিন্সিপাল মঙ্গলবার তিন জেলায় ৫টি গণসমাবেশে বক্তব্য দেবেন ইবনে শাইখুল হাদিস মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া নির্বাচন সহিংসতার দিকে যেতে পারে’ বিএনপির রাজনীতি হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য: ধানের শীষের প্রার্থী বার্তা২৪ ডটকমের যুগ্ম সম্পাদক হলেন মুফতি এনায়েতুল্লাহ ‘জামায়াতের কাছে আসন চাওয়ার সংবাদ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাতা বাইতুল্লায়, একটি ছাতার নীচেই ২৫০০ মানুষ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাতা নির্মাণ হচ্ছে মক্কার বাইতুল্লাহ শরিফে। প্রতিটি ছাতার উচ্চতা ৩০ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমানভাবে ৫৩ মিটার। ছাতাগুলো এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাতা হিসেবে পরিচিতি পেতে যাচ্ছে। প্রতিটি ছাতার নীচে কম করে হলেও হাজার মানুষ দাঁড়াতে পারবে।

সূত্রমতে জানাযায়, ২০১৪-সালের ডিসেম্বর মাসে মক্কা-মদিনা হারামের খাদেম ও সৌদি আরব সরকারের প্রধান প্রয়াত মালিক আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল সাউদ প্রচণ্ড তাপমাত্রার কথা চিন্তা করে পবিত্র হজ্জ ও ওমরাহতে আসা আল্লাহর মেহেমান হাজী ও নিয়মিত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে এ বৃহত্তর ভাঁ'জ করা ছাতা নির্মাণ করার ঘোষণা দেন।

জেনারেল প্রেসিডেন্সি টু হলিমস্ক কোম্পানি নামে ঠিকাদার সৌদি সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ ভাঁজ করা ছাতা নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করবে। ইতিমধ্যে জাপান থেকে এসে কাজ শুরু করেছে প্রায় ২৫-জন ইঞ্জিনিয়ার সহ প্রয়োজনীয় টেকনিশিয়ান ও সেপটি এক্সপার্ট।

প্রতিটি ছাতা ৪৫-মিটার উঁচু ও প্রায় ১৬-টন ওজন হবে। প্রতি-টা ছাতা ২৪-স্কয়ার মিটার স্থান জুড়ে ছায়া দিতে সক্ষম হবে। হারাম শরীফের উপরে ৮-টি হাই টেকনোলোজি সাইজের ছাতা বসানো হবে। হারামের উত্তর পাশে ৫৪-টি ছাতা বসানো হবে। সবকটি ছাতা মিলে প্রায় ১৯-হাজার ২০০-শত স্কয়ার মিটার স্থান জুড়ে ছায়া দিবে। কাবা শরীফের ছাদও মডেল ছাতার ছায়া তলে থাকবে।

নির্মিত ভাঁজ করা প্রতিটি ছাতা বড় বড় ঘড়ি ও এইচডি স্ক্রিনে তৈরি হবে। ছাতায় হাজীদের জন্য দিকনির্দেশনা লেখা থাকবে। ছাতা গুলো এসি সংযুক্ত গরমে ঠাণ্ডা দিবে। হাজীগণ ও প্রার্থনা কারীরা বিশ্রাম নিতে পারার মত ছাতার নিছে থাকবে ২২-টি বেন্স ও হাই সিকিউরিটি ব্যবস্থা।

ছাতা গুলো সম্পূর্ণ হলে হারামের উত্তর পার্শ্বে ৪-লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে। মদিনা মসজিদ নববীতে আগে থেকে ছাতা রয়েছে প্রতিটি ছাতা খোলার সময় এক মিনিট ব্যবধান থাকে যাতে করে একটি ছাতা আরেকটি ছাতার সাথে ধাক্কা না লাগে।

খোলার সময় মনে হয় একটি ফুল ফুটছে বাগানে। এ ভাঁজ করা ছাতা নির্মিত হলে মক্কা বায়তুল্লাহ (কাবা ঘর) ঘিরে মসজিদুল আল হারামের দৃশ্য হবে অন্যরকম সুন্দর। দৃষ্টিনন্দন। সূত্র: ইসলাম ইন্ক

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ