ভারতের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, সীমান্ত হত্যা ও পানি সংকটসহ একাধিক ইস্যুতে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। সোমবার (৩০ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির পক্ষ থেকে ৩ দফা দাবি ও ৪ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “দেশে ভারতীয় আধিপত্য, শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্র এবং আওয়ামী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি জাতীয় গণজাগরণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।”
জাগপার ৩টি প্রধান দাবি:
১. ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে—সীমান্ত হত্যা, অবৈধ পুশ-ইন, পানি সংকট, ভৌগোলিক অনুপ্রবেশ ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অবসান ঘটাতে হবে।
২. গণহত্যার বিচার—জুলাই, পিলখানা, শাপলা চত্বর, মোদী বিরোধী আন্দোলন ও লগি-বৈঠা ঘটনায় দায়ীদের বিচার করতে হবে।
৩. আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিচার—গুম, খুন, দুর্নীতি, লুটপাট ও স্বৈরশাসনের জন্য আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের জবাবদিহি করতে হবে।
ঘোষিত ৪ কর্মসূচি:
১. ১ জুলাই: ‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষে দেশজুড়ে দোয়া মাহফিল।
২. ৩১ জুলাই: ‘জুলাই আহত দিবস’ পালন ও আহতদের স্মরণে কর্মসূচি।
3. পুরো জুলাই মাসজুড়ে: ২০টি সাংগঠনিক জেলা ও ৮ বিভাগীয় শহরে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও গণসচেতনতা কর্মসূচি।
৪. ৬ আগস্ট: ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদ এবং তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হবে।
রাশেদ প্রধান আরও বলেন, “আমরা জাতীয় নির্বাচনের অপেক্ষায় আছি, কিন্তু শুধু নির্বাচন নয়—আমরা বিচার চাই। ফ্যাসিস্টদের শাসনকালে সংঘটিত সব গণহত্যার বিচারের দাবি অবহেলিত হয়ে পড়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “শেখ হাসিনা কেবল একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না, তিনি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ভারতীয় স্বার্থে উৎসর্গ করেছিলেন। দিল্লি তাকে আশ্রয় দিয়ে তা প্রকাশ্যেই প্রমাণ করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “শুধু নির্বাচন নয়, দরকার একটি ভারতীয় প্রভাবমুক্ত সুশাসন ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে দেশের বিচারব্যবস্থা, সীমান্তনীতি, রাজনৈতিক স্বাধিকার এবং সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে জাগপার অন্যান্য শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
এসএকে/