শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১১ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

আমরা কি এই মহান মানুষটিকে চিনি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।। ড. মাহমুদুল হাসান।।

এই মানুষটি ১৯৯৪ সালে বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছিলেন- ‘আমি যা লিখেছি, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই লিখেছি। অতএব আপনারা আমার এই দ্বীন বিনষ্ট করবেন না।’

তিনি ছিলেন ড. মুহাম্মদ হামীদুল্লাহ— হায়দরাবাদী এক মহা মনীষী। যিনি ফ্রান্সে অর্ধশতাব্দী কাটিয়ে ইসলাম প্রচারে এতটাই নিবেদিত ছিলেন যে, তাঁর মাধ্যমে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেন।

তিনি ২২টি ভাষা জানতেন। আর জীবনের শেষ দিকে ৮৪ বছর বয়সে থাই ভাষাও শিখেছিলেন!

তিনি বিয়ে করেননি, কিন্তু জ্ঞানকে নিজের জীবনসঙ্গী করে নিয়েছিলেন। আর জন্ম দিয়েছিলেন ৪৫০টিরও বেশি বই এবং পৃথিবীর নানা ভাষায় ৯৩৭টিরও বেশি প্রবন্ধ।

তিনি ছাত্রদের সঙ্গে ফ্রান্সে সফরের সময় নিজ হাতে থালা-বাসন ধুতেন— অথচ তখনও বিশাল মনীষা-ব্যক্তিত্ব সুপরিচিত ও সুবিদিত।

পাকিস্তানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক তাঁর সীরাতচর্চার জন্য এক কোটি রুপির সম্মাননা দিতে চাইলেও তিনি তা ইসলামাবাদে অবস্থিত ইসলামি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে দিয়ে দেন। আর বলেছিলেন, ‘এই নশ্বর দুনিয়ায় যদি পুরস্কার নিয়ে নিই, তবে আখেরাতে কী অর্জন করব?’

এই মহৎ মানুষটি ২০০২ সালে ৯৪ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। আল্লাহ তাঁর কবরকে নূরে ভরে দিন এবং আমাদের এমন মানুষদের চেনার ও জানার তাওফিক দান করুন।

আসুন, তাঁদের কথা মনে রাখি- যেন আমাদের সত্যিকারের আদর্শ হারিয়ে না যায়…।

লেখক: যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট দাঈ ও ইসলামিক স্কলার

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ