শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১১ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের, ‘উসমান হাদির হত্যা মামলায় সরকারের ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয়’ আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুসলিম শিক্ষককে গুলি করে হত্যা ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন

সংস্কারের মোড়কে অস্তিত্ব বিকিয়ে, কোনো গোলামীর ফটক চাই না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| আহমদ যাকারিয়া ||

বাংলাদেশের ৫৪ বছরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ধারাকে পাশ কাটিয়ে, পশ্চিমা ধাঁচে দেশকে নতুন একটি কলোনিয়াল অবস্থানে নিয়ে যেতে ড. মুহাম্মদ ইউনুস কাজ করে চলেছেন। তাই যত দ্রুত নির্বাচন হবে দেশের জন্য সেটাই হবে কল্যাণকর।

তবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্য রেজাউল করিম মল্লিক এবং খলিলুর রহমানকে বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমান সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এমন ব্যক্তিরা, যাদের আন্তরিকতা বাংলাদেশের প্রতি নয়, বরং আমেরিকার প্রতি।

সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এবং সংস্কার কমিশনের অনেক সদস্য দ্বৈত নাগরিকত্ব ধারণ করেন। তাদের মধ্যে অনেকেই নামেমাত্র মুসলমান, কিন্তু আদতে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি হিউম্যানিস্ট বা স্যাটানিস্ট, যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু অমিমাংসিত বিষয় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • আরাকান এর জন্য মানবিক করিডোর
  • পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান সমস্যা
  • চট্টগ্রাম বন্দরের বিদেশি কোম্পানির কাছে দেওয়া
  • আওয়ামী লীগের বর্বরোচিত শাসনের বিচার নিশ্চিতের প্রক্রিয়া
  • এছাড়া, স্থানীয় নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচন কবে, কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে—এ বিষয়ে কোনো সঠিক রোডম্যাপ এখনও জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হয়নি।

এদিকে, নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত প্রস্তাবনা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ইসলামপন্থীদের অভিযোগের কোনো সন্তোষজনক উত্তর দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গত ৩ মে হেফাজতের মহাসমাবেশের বক্তব্যকে ‘নারীর প্রতি বিদ্বেষ ও অসম্মানজনক’ বলে মিডিয়ায় জানিয়ে দিয়েছেন।

নারী সংস্কারের প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা যেমন মিডিয়া, এনজিও এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো দেখা যাচ্ছে, তেমনই এই প্রোগ্রামের পেছনে রয়েছে বিশাল রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক সহায়তা। প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, বিবিসি, এনজিওগুলো, ছায়ানট, উদীচী, শিল্পকলা একাডেমি, এবং বামপন্থী সংগঠনসহ নানান সেলিব্রিটির উপস্থিতি এই প্রোগ্রামটিকে শক্তিশালী করেছে।

এমন এক পরিস্থিতিতে, ড. ইউনুস বিবৃতি দিয়ে জানান, দেশের সকল সেক্টরে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে, এবং সবার জন্য রূপান্তরিত জেন্ডারের অধিকার সুনিশ্চিত করা হবে। যেখানে ইসলামপন্থীদের লাখো ভয়েস শোনা গেলেও, কোনো মন্তব্য আসেনি ড. ইউনুসের পক্ষ থেকে, সেখানে মাত্র হাজার খানেক বিকৃত প্রোগ্রামের পর তার এই বিবৃতি প্রকাশ পাওয়ার পেছনে মূল উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে—তিনি কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছেন।

বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিস্থিতি এমন যে, বিভিন্ন দল নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে পারছে না। কেউ দুর্নীতি এবং কোন্দলে নিমজ্জিত, কেউ বা নিজের চিন্তাধারা বিসর্জন দিয়ে সরকারের পদতলে চলে গেছে। দেশবাসী আজ ঐক্যবদ্ধভাবে জানতে চায়, এই অস্থিরতার অন্তরালে আসলে কি চলছে।

লেখক: যুক্তরাজ্য প্রবাসী লেখক ও অ্যাকটিভিস্টি

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ