শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭


মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় অস্বীকার শেখ হাসিনার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে ওঠা মানবতাবিরোধী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি অভিযোগগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পূর্বনির্ধারিত রায়ের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

বিবিসিকে ই-মেইল দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, তার অনুপস্থিতিতে যে বিচার চলছে, তা ‘ক্যাঙ্গারু কোর্টের সাজানো প্রহসন’ এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনি আরও বলেন, তার আইনজীবী বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।

২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টে আন্দোলন দমনে হত্যায় উসকানি, প্ররোচনা এবং ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’সহ পাঁচ অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের দাবি করা হয়েছে। একই মামলায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে। প্রসিকিউশন কামালের বিরুদ্ধেও মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে।

শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, আন্দোলন দমনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও তিনি কখনো নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেননি। তিনি এই মামলাকে রাজনৈতিকভাবে ‘আ. লীগকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশন এবং বিবিসি রিপোর্ট অনুসারে, ওই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১,৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। তবে হাসিনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, তার ব্যক্তিগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই এবং কোনো কর্মকর্তার দায় থাকলে তা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত হওয়া উচিত।

আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই জাতিসংঘে ট্রাইব্যুনালের বিচার ও আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। মামলার প্রক্রিয়া চলাকালীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকায় দলটি আগামী ফেব্রুয়ারির ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

শেখ হাসিনার অবস্থান অনুযায়ী, এই মামলা ও অন্যান্য মানবাধিকার সংক্রান্ত অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি দাবি করছেন, তার বিরুদ্ধে যেকোনো দোষ প্রমাণ করতে হলে তা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে করা উচিত।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ