মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
নুরের ওপর সেনা-পুলিশ হামলা ন্যাক্কারজনক, নিঃশর্ত দুঃখপ্রকাশ করতে হবে: নাহিদ  পিআর ও জুলাই সনদ নিয়ে বাড়ছে বিরোধ, কোন পথে ইসলামি দলগুলো কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা ও আন্তর্জাতিক মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে পরামর্শ সভা  আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় খেলাফত মজলিসের শোক আলেমে রাব্বানী ক্বারী তৈয়ব (রহ.)-এর স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মির্জা ফখরুলের হাতে ফুল তুলে দিলেন সারজিস ‘কোরবানির চামড়া লবণজাত করে ক্ষতিগ্রস্ত মাদরাসার পাশে দাঁড়ায়নি সরকার’  আওয়ামী ‘দোসরদের’ রাজনীতি নিষিদ্ধে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকসুতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

কী বলা আছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। সোমবার (১২ মে) বিকেলে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী দমন-পীড়ন, গুম, খুন, নির্যাতন, ধর্ষণসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণআন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে দেশি-বিদেশি রিপোর্টে।

সরকার জানিয়েছে, এসব অপরাধের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও দেশের আদালতে অসংখ্য মামলা বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু বিচারের পথ রুদ্ধ করতে দলটির নেতাকর্মীরা হামলা, উসকানিমূলক মিছিল, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ ও সামাজিক মাধ্যমে অপরাধমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে যাচ্ছেন। এতে দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা হুমকির মুখে পড়েছে এবং মামলার বাদী-সাক্ষীদের মনে ভীতি ছড়িয়ে বিচার প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, সরকারের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে দলটি ও তার অঙ্গসংগঠনসমূহ একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো আচরণ করছে এবং রাষ্ট্রকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ অবস্থায় সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এর আওতায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় দলটির কোনো মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন, প্রচারণা বা প্রকাশনা — কোনো কিছুই অনুমোদিত নয়। গণমাধ্যম, অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাদের প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১০ মে শনিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ