শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
"পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা” ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে সাভারে হেফাজতের বিক্ষোভ আমরা একজোট হয়ে ভারতকে জবাব দেব: মাওলানা ফজলুর রহমান পটিয়ার সাবেক সিনিয়র উস্তাদ মাওলানা আব্দুল মান্নান দানিশের ইন্তেকাল নারী সংস্কার কমিশনের কিছু ধারা কোরআন-সুন্নাহর খেলাপ: জামায়াত আমির  ‘নারী সংস্কার কমিশনের উদ্দেশ্য ধর্মীয় ও পারিবারিক কাঠামো ধ্বংস করা’ ঐতিহাসিক দারোগা বাগানের ৩ একর জায়গা উদ্ধার করলেন বন বিভাগ  পেহেলগাম হত্যার তীব্র নিন্দা দারুল উলুম দেওবন্দের অবশেষে ভারতীয়দের ভিসা বাতিল করল পাকিস্তান হজযাত্রায় গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর!

শান্তির দেশ চাই, হানাহানি চাই না: সেনাপ্রধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘আমরা শান্তির দেশ চাই, শৃঙ্খলার দেশ চাই। আমরা এখানে হানাহানি, বিদ্বেষ চাই না।’ তিনি বলেছেন, ‘বিভিন্ন মত থাকতে পারে। অবশেষে আমরা সবাই সবাইকে যেন শ্রদ্ধা করি। একে অপরের বক্তব্য, মতামতকে যেন শ্রদ্ধা করি। আমাদের নিজস্ব মতামত থাকবে, সেই অনুযায়ী আমরা অবশ্যই কাজ করব। কিন্তু আমাদের একে অপরের প্রতি যাতে শ্রদ্ধাবোধ থাকে, সেদিকে আমাদের লক্ষ রাখা জরুরি।’

আজ রোববার সকালে ঢাকার মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে ‘সম্প্রীতি ভবনের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, ‘গৌতম বুদ্ধের যেই নীতি—অহিংসবাদ ও সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষবিহীন দেশ, এটাই আমরা গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই, সবাই এখানে একসঙ্গে সুন্দরভাবে বসবাস করব। সেই উদ্দেশ্যে সব সময় কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই আপনাদের সঙ্গে আছি। এ দেশ সবার। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলমান সবার এই দেশ। এই সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা বাস করতে চাই।’

চট্টগ্রামে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘সেখানে আমরা ওতপ্রোতভাবে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে ছিলাম। সেখানে কঠিন চিবরদান অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানে গিয়েছি। তাদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে কাজ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে যেন শান্তি বিরাজ করে। তার জন্য যা কিছু করতে হয়, আমরা করতে রাজি আছি। সমগ্র দেশে এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য যা কিছু করতে হয়, সেটা আমরা করতে সব সময় সদা প্রস্তুত থাকব।’

সম্প্রীতি ভবনের জন্য ৬–৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলেও জানান সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা করে দিচ্ছি।’ এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে যাতে এর নির্মাণ শেষ হয়, সে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ