শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫ ।। ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ৩০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কম্বোডিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে বাস, নিহত ১৬ সুড়ঙ্গে আটকে থাকা যোদ্ধারা বের হওয়ার পর ইসরায়েলের হামলা,  নিহত ৫ মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা দুবাই এয়ার শোতে ভারতের তৈরি তেজস যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত শেওলা ইউনিয়নে ছাত্র জমিয়তের শীতবস্ত্র বিতরণ ভূমিকম্পের ছায়া, বাংলাদেশ হোক সচেতন ও প্রস্তুত মায়ের সঙ্গে বাজারে গিয়ে ভূমিকম্পে প্রাণ হারাল মেডিকেল শিক্ষার্থী ভূমিকম্পে বৈদ্যুতিক তারের ঘর্ষণে তুলা কারখানায় আগুন সকাল ১০:৩৯-এ অনুভূত ভূমিকম্প, বৈজ্ঞানিক ও ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

দুবাই এয়ার শোতে ভারতের তৈরি তেজস যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দুবাই এয়ার শোর উড়ন্ত প্রদর্শনীর সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) একটি তেজস যুদ্ধবিমান আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনার পর আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আকাশে ঘন কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। ইন্ডিয়ার এয়ার ফোর্স (আইএএফ) নিশ্চিত করেছে, এই ঘটনায় বিমানের পাইলট নিহত হয়েছেন।

আইএএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘দুবাই এয়ার শোর আকাশে প্রদর্শনী চলাকালে একটি তেজস বিমান বিধ্বস্ত হয়। পাইলট গুরুতর আহত হন এবং পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ করেন।  এ দুর্ঘটনায় ভারতের বিমান বাহিনী গভীর শোক প্রকাশ করছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজে বরাতের ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দুর্ঘটনাটি স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ঘটে। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড নির্মিত এক আসনের হালকা যুদ্ধবিমানটি হঠাৎ উচ্চতা হারিয়ে দ্রুত নিচে পড়তে থাকে। পাইলট ‘নেগেটিভ জি-ফোর্স’ বাঁক থেকে সঠিকভাবে উঠতে ব্যর্থ হন। কয়েক সেকেন্ড পর বিস্ফোরণের মতোভাবে ধোঁয়ার মেঘ উঠতে দেখা যায়।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এয়ার শো মাঝেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। শোতে এ বছর এমিরেটস ও ফ্লাইদুবাইয়ের বড় অর্ডারসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এসেছে।

এর আগেও ২০২৪ সালের মার্চে রাজস্থানের জয়সলমীরে একটি তেজস বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। ২০০১ সালে প্রথম উড্ডয়নের পর ২৩ বছরে সেটিই ছিল তেজসের প্রথম দুর্ঘটনা। তখন পাইলট ইজেকশন সিট ব্যবহার করে প্রাণে বেঁচে যান।

তেজস ৪.৫ প্রজন্মের বহুমুখী হালকা যুদ্ধবিমান- যা আকাশ প্রতিরক্ষা, আক্রমণাত্মক সহায়তা ও নিকট-অভিযান পরিচালনায় সক্ষম। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে ‘মার্টিন-বেকার জিরো-জিরো ইজেকশন সিট’, যা শূন্য উচ্চতা ও শূন্য গতিতেও ইজেকশন করা সম্ভব।

ভারতের পুরোনো যুদ্ধবিমান বহর আধুনিকায়ন ও বিদেশি নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টায় তেজস প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ২০১৬ সালে প্রথম তেজস স্কোয়াড্রন ‘ফ্লাইং ড্যাগারস’ ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয়।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ