রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭


বিহারে ৩৫ বছরের মধ্যে মুসলিম বিধায়কের সংখ্যা সর্বনিম্ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভারতের বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে এবার ভূমিধস জয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। এ জয়ে নতুন বিধানসভায় মুসলিম বিধায়কের সংখ্যা আরও কমছে। ১৯৯০ সালের পর থেকে গত ৩৫ বছরে টানা আটটি নির্বাচনের মধ্যে এবার তা কমে দাঁড়াচ্ছে ১০। খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

যদিও ২০২২-২৩ সালের রাজ্য জরিপের তথ্য অনুসারে, বিহারের ১৩ কোটি সাত লাখ জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায় ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার বিরোধী জোট ও এনডিএ উভয়ই কম মুসলমান প্রার্থী দিয়েছিল, যা মুসলিম প্রতিনিধি হ্রাসে অবদান রেখেছে।

লালু প্রসাদের আরজেডি মহাজোটে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এতে আসাদুদ্দিন ওয়াইসির নেতৃত্বাধীন এআইএমআইএম ২৫টি আসনের মধ্যে মাত্র পাঁচটি আসনে জয়লাভ করেছে। ২০২০ সালে মুসলিম অধ্যুষিত সীমাঞ্চলের এই পাঁচটি আসনেই জয় পেয়েছিল দলটি।

নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডি(ইউ) চারজন মুসলিম প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিল। বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য মোহাম্মদ জামা খান কাইমুর জেলার চৈনপুর আসন থেকে এগিয়ে ছিলেন। যেহেতু চৈনপুর মুসলিম অধ্যুষিত আসন নয়, তাই বিজেপি নেতারা হিন্দু ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেছিলেন।

সীমাঞ্চল অঞ্চলে কংগ্রেস তাদের ২০২০ সালের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি দেখতে পেয়েছে। কিষাণগঞ্জে তাদের প্রার্থী মোহাম্মদ কামরুল হোদা এবং আরারিয়ায় আবিদুর রহমান জয়লাভ করেছেন। তবে, কংগ্রেসের সিএলপি নেতা শাকিল আহমেদ খান জেডিইউর দুলাল চন্দ্র গোস্বামীর কাছে ১৮ হাজার ৩৬৮ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন।

২০১০ সালে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ১৯ জন বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন, যা বিধানসভায় ছিল ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। এর মধ্যে জেডি(ইউ) থেকে সর্বোচ্চ সাতজন, আরজেডি থেকে ছয়জন, তিনজন কংগ্রেস থেকে, দুজন এলজেপি এবং একজন বিজেপির বিধায়ক ছিলেন। বিজেপির একমাত্র মুসলিম বিধায়ক সাবা জাফর পূর্ণিয়া জেলার আমোর আসন থেকে কংগ্রেসের আব্দুল জলিল মাস্তানের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন।

২০১৫ সালে মুসলিম বিধায়কের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২৪ জনে, যা বিধানসভায় ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এর মধ্যে ১২ জন আরজেডি, ছয়জন কংগ্রেস, পাঁচজন জেডি(ইউ) এবং একজন সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের ছিলেন।

২০২০ সালে বিধানসভায় মুসলিম প্রতিনিধি কমে ১৯ জনে দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে আটজন ছিলেন আরজেডির, তারপরে এআইএমআইএমের পাঁচজন, কংগ্রেসের চারজন এবং বিএসপি ও সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের একজন করে বিধায়ক ছিলেন।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ