ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের বেন গুরিওন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৬টি গবেষণাগার সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৯টি গবেষণাগার। এ ঘটনায় তেল আবিবের শিক্ষা ও গবেষণা খাতে ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ হয়েছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১৯ জুন দক্ষিণ ইসরায়েলের সোরোকা ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার ক্যাম্পাসে ওই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “বহু বছর ধরে চলা চিকিৎসা ও জীববিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার ফলাফল এক মুহূর্তেই মাটিতে মিশে গেছে।”
হামলায় শুধু গবেষণাগার নয়, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদের শ্রেণিকক্ষ, ডিসেকশন রুমসহ প্রায় ৩০টি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা না হলেও অনুমান করা হচ্ছে, এতে ১০ কোটি থেকে কয়েক শত কোটি শেকেল (ইসরায়েলি মুদ্রা) পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
এই হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন শিক্ষক ও কর্মচারী এবং ৪৮ জন শিক্ষার্থীর বাসভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জন কর্মচারী ও ৪১ জন শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তার স্বার্থে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শহরের ৪টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু কর্মচারীকেও সেখানে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এ হামলার ফলে শুধু বেন গুরিওন বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বরং পুরো ইসরায়েলের গবেষণা ও শিক্ষা খাতে ভয়াবহ ধাক্কা লাগবে। বিশেষ করে চিকিৎসা ও জীববিজ্ঞানের বহু দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা কার্যক্রম সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসএকে/