মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য সফর স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ঐতিহ্যবাহী মিত্র ইসরায়েলের চেয়ে এখন উপসাগরীয় অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। অর্থনৈতিক চুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কূটনৈতিক সমীকরণ গড়ে তুলছে, যা আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
ট্রাম্পের সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন উপসাগরীয় দেশের সঙ্গে বিপুল অঙ্কের আর্থিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪৪০ বিলিয়ন ডলারের বিশাল এক জ্বালানি বিনিয়োগ চুক্তি, যা যুক্তরাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এই কৌশলকে অনেকে ‘ডিলমেকার’ প্রেসিডেন্টের নতুন অর্থনৈতিক কূটনীতি হিসেবে দেখছেন।
তবে এই অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার নীতির ফলে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যগত সমর্থন দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের ইরান, ইয়েমেন এবং সিরিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সংলাপে আগ্রহ দেখানো ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অবস্থানকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র এখন মধ্যপ্রাচ্যে একটি কৌশলগত প্যারাডাইম শিফটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে ইসরায়েল আর একমাত্র নির্ভরযোগ্য মিত্র নয়। বরং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ আরব দেশগুলোর সঙ্গে নতুন সম্পর্ক স্থাপন করাই এখন ওয়াশিংটনের মূল লক্ষ্য।
এই পরিবর্তন মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় বড় ধরনের রদবদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে এবং সেই সঙ্গে ইসরায়েলের জন্য ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এসএকে/