নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনে যারা আছেন, প্রত্যেকেই একেকজন ‘তসলিমা নাসরিন’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার কমিশনে যারা এমন প্রস্তাবনা দিয়েছেন, তারা ভারতে নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের দোসর। এ ধরনের কটাক্ষের অপরাধে তাদের বিচার করতে হবে।’
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এক গণসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রংপুর জেলার সভাপতি মুহাম্মদ আতাউল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শরাফত হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা রেজাউল করিম।
মামুনুল হক বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় ধর্মীয় উত্তরাধিকার ও পারিবারিক আইনকে বৈষম্যের কারণ বলা হয়েছে, যা সরাসরি কোরআন ও ইসলাম অবমাননার শামিল।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অতীতের পাঁচটি গণহত্যার অভিযোগ এনে মামুনুল হক বলেন, ‘প্রায় তিন হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না।
প্রধান উপদেষ্টাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস সাহেবকে অনেক সম্মান দিয়েছি। আল্লাহর কোরআনের বিরুদ্ধে যদি তিনি অবস্থান নেন তার সঙ্গেও শেখ হাসিনার চেয়ে ভিন্ন কোনো আচরণ করব না।’
মামুনুল হক বলেন, ‘পৃথিবীতে আজ দুটি জনপদ সবচেয়ে বেশি সমালোচিত।
একটি গাজা ভূখণ্ড, যেখানে ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যা চলছে। আরেকটি হলো ৩০ কোটি মুসলমানের ভারত। যেখানে কসাই মোদি সরকার দেশটিকে মুসলিম শূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশে ইসলাম বিপন্ন হলে স্বাধীনতা টিকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা ইসলামবিদ্বেষী তারাই বাংলাদেশের শত্রু।’
এমএইচ/