সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ ।। ৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৭ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
মাদরাসা ছাত্র হাফেজ মনসুরের হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবি ড. মাহমুদুর রহমানের মায়ের জন্য দোয়ার আহ্বান পীর সাহেব দেওনার ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত, মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল মানবতা ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে: ইসলামী ঐক্যজোট আলমডাঙ্গায় পলাশি দিবসের আলোচনাসভা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তি চায় ইসরায়েল: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আন্দোলনে অচল সরকারি অফিস সচলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন: ইসলামী আন্দোলন দলের কর্মীদের নিয়ে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি নেতা ইসলামি দলগুলোর শীর্ষ নেতারা কে কোথায় থেকে লড়বেন? লন্ডনে জমিয়তের ঈদ পুনর্মিলনী ও কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ সভা

দাওরায়ে হাদিসের তালেবে ইলম ভাইদের প্রতি!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ উমারা হাবীব

বছর শেষে জীবনের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ভেবে বেশ আয়োজন করার তাগিদ অনুভব হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই আয়োজন অনর্থ ও বাড়াবাড়িতে পৌঁছে। এর জন্য পরিবারকে কেউ কেউ বিপাকে ফেলে। বিশেষ উপলক্ষ্য হিসেবে কিছু আয়োজন করাই যায়। যা স্মৃতি ও মানুষের উপকারী হিসেবে সদকায়ে জারিয়ার মাধ্যমও হতে পারে।

আমার দাওরার বছর শুরু থেকেই এই ইচ্ছা ছিল কিন্তু নানা কারণে কুলিয়ে উঠতে পারিনি।

কী সেই ইচ্ছা? ডায়েরি কলম চাবির রিং ইত্যাদিতে অনেকেই বেশ খরচ করেন। অনুষ্ঠানের পরদিনই যার হাকিকত সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। এজন্য স্মারক বা বই ছাপার একটা রেওয়াজ থাকলেও সেটাকে আরেকটু নতুনভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলাম। যেমন দস্তারবন্দি আয়োজনে মনে করুন আপনার পাঁচ সাত হাজার টাকা সর্বনিম্ন খরচ করবেন ডায়রি কলম চাবির রিং বানিয়ে। তার পরিবর্তে আপনি যদি এই খরচে দুই তিন ফর্মার সংক্ষিপ্ত সিরাত , কোনো বিশেষ বিষয়ের তথ্য, কোনো বিষয়ের প্রয়োজনীয় মাসআলা সংকলন ছেপে দেন নিজ উদ্যোগে তখন কিন্তু উপকারী জিনিস হওয়া ছাড়াও ছোট ছোট অনেক চমৎকার পুস্তিকা তৈরি হয়ে যাবে। 

যারা নিজেরা লিখতে পারেন  তারা নিজেই প্রস্তুত করে কোনো উস্তাদকে দেখিয়ে নিলেন। আবার উস্তাদদের কাজও এভাবে ছেপে দিতে পারেন। 
সামর্থ্য অনুযায়ী ফর্মার হিসেব বড়ও হতে পারে। 

এসব করতে উৎসাহিত না হওয়ার পেছনে আজকাল অনেকেই অনলাইনে পড়ে থাকার সুবাদে এটা নিশ্চিত বিশ্বাস করে নিয়েছেন যে, মানুষ এখন বই পড়ে না, পড়তে চায় না। এই ধারণা সর্বৈব অমূলক মনে করি। কারণ বই বাজারের খোঁজ রাখলেই বর্তমান সময়ে কী পরিমাণ বই মানুষ পড়ে তার কিছুটা হলেও ধারণা হবে আপনার।

তো , প্রতি বছরের ফাজেল ভাইদের প্রতি এই বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ থাকবে। এই ধারণাটি ফলপ্রসূ হলে খুব দ্রুত এই দেশে বিনামূল্যে শরয়ি বইপত্র বিতরণ যেমন ব্যাপক হবে তেমনি বাংলা ভাষায় শরিয়া পাঠ সামগ্রী বৃদ্ধি পাবে।

লেখক: তরুণ আলেম লেখক ও চিন্তক

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ