শায়খ আহমাদুল্লাহ
প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অংশগ্রহণ করা ২৭টি যুদ্ধে উভয়পক্ষে মারা গেছে মোট চারশ মানুষ। তাদের প্রত্যেকে আবার ছিলেন সামরিক যোদ্ধা।
আজকের পৃথিবীতে এক বোমার আঘাতেই চারশর বেশি মানুষ মারা যায়। যাদের বেশিরভাগই আবার নারী-শিশু-বৃদ্ধ সহ বেসামরিক সাধারণ মানুষ।
এরপরও আপনাকে বলতে হবে আজকের পৃথিবী সভ্য!
নবীজি (সা.) এবং তাঁর সৈনিকেরা কখনো কোনো নারী কিংবা শিশুর গায়ে ফুলের টোকাও দেননি। অথচ আজ প্রতিটি রণাঙ্গণে কান পাতলেই শোনা যায় নারী ও শিশুর আর্তনাদ।
এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী অনেক মানবিক!
নবীজি (সা.) কখনো উপাসনালয়ে থাকা যাজকদের হত্যা করেননি। অথচ আজ বেছে বেছে ধর্মীয় উপাসনালয় ও ধর্মীয় নেতাদের টার্গেট করা হয়।
এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে সংবেদনশীল!
নবীজি (সা.)-এর খলিফা আবু বকর (রা.) যুদ্ধের সময় সৈনিকদের গাছপালা ও ফসল নষ্ট করতে নিষেধ করেছেন। অথচ আজ নির্বিচারে কার্পেট বোমা মেরে পরিবেশ ও প্রকৃতি ধ্বংস করা হয়।
এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী অনেক বেশি পরিবেশ সচেতন।
নবীজি (সা.) লাশের সাথে অমানবিক আচরণ করত নিষেধ করেছেন। অথচ আজ মৃত লাশ নিয়ে পৈশাচিক আনন্দ করা হয়।
এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী মানবাধিকারের ঊর্বরভূমি।
নবীজি (সা.) সম্মুখ যুদ্ধেও প্রতিপক্ষের আক্রমণের অপেক্ষা করতেন, আক্রমণের আগে তাদের শেষবারের মতো দাওয়াত দিতেন, অথচ আজ ক্ষমতাধরেরা যখন যেখানে খুশি এমনকি রাতে আঁধারে ঘুমন্ত মানুষের ওপর হামলা করে।
এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী শান্তিকামী।
লেখক: বিশিষ্ট দাঈ, চেয়ারম্যান, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
এমএইচ/