মাওলানা আবদুর রাজ্জাক
আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ইসলামি দলগুলোর কিছু বিষয় বিশেষ বিবেচনায় নিতে হবে। সেগুলো হলো-
এক. যোগ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা, সততা, সাংগঠনিক মানসিকতা, পরিচিতি, ইত্যাদির সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট দলকে তিনি শতভাগ হৃদয় ও আত্মায় ধারণ করেন কি না? সেটি দেখতে হবে।
দুই. যেহেতু এক নির্বাচনই সবকিছু হয়ে উঠবে না, তাই প্রার্থীকে আগামী দিনে সংশ্লিষ্ট আসনের নেতা হিসেবে তৈরি করা যাবে কি না? সেটা খেয়াল করতে হবে।
তিন. ইসলামি সমাজ বিপ্লব ছাড়া ইসলামি হুকুমত সম্ভব নয়। একটা পর্যায়ে গিয়ে বিপ্লবের সক্ষমতা তৈরি হবে এবং বিপ্লব অনিবার্য হয়ে দেখা দেবে। তাই দেখতে হবে- প্রার্থীর মাঝে বিপ্লবের মানসিকতা আছে কি না?
চার. এই নির্বাচনেই ইসলাম কায়েম হয়ে যাবে বা সব প্রার্থী বিজয়ী হয়ে যাবে বিষয়টা এমন নয়। তাই দেখতে হবে প্রার্থীকে নিয়ে সাংগঠনিক ভিত্তি ও মজবুতি অর্জন করা যাবে কি না?
পাঁচ. প্রার্থী মাঝে বুলন্দ হিম্মত থাকতে হবে।
ছয়. মৃত্যুর ভয় প্রার্থীর মাঝে থাকতে পারবে না।
সাত. সম্পদ ও পদের লোভ প্রার্থীর মাঝে থাকতে পারবে না।
আট. প্রার্থী শুধু মেহমান নয় বরং তার মাঝে আয়োজক হবার মেজাজ থাকতে হবে।
নয়. মিডিয়া, গুণীজন ও পাবলিকের সামনে যৌক্তিক বক্তব্য দেওয়ার যোগ্যতা প্রার্থীর মাঝে থাকতে হবে।
দশ. কর্মীদের ভালোবাসার পাত্র হতে হবে। তাদের মন জয় করতে পারতে হবে। তাদের হতাশা দূর করে, তাদের মাঝে হিম্মত তৈরি করতের পারতে হবে। কর্মীদের মাঝে কোন বিষয়ে সংশয় দেখা দিলে যৌক্তিক ভাবে তা দূর করতে পারতে হবে।
এগার. দেওয়ার মেজাজ থাকতে হবে। উদারতা ও দানশীলতার গুণ থাকতে হবে।
বারো. শুধু ফুল ছিটানো নয় বরং কাঁটা বিছানো পথে চলতে অভ্যস্ত হতে হবে। ভোগ নয় ত্যাগের মানসিকতা থাকতে হবে প্রার্থীর মাঝে।
লেখক: কেন্দ্রীয় সহ দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ
এমএইচ/