শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

কওমি তরুণদের ভবিষ্যৎ: রাষ্ট্রীয় বৈষম্য ও নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মুহাম্মাদ শোয়াইব ||

বাংলাদেশের কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় চেতনার ভিত্তি। কিন্তু এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত তরুণদের জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সুযোগ-সুবিধা প্রায় নেই বললেই চলে। গত কয়েক দশক ধরে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা ও সমাজের বিভিন্ন স্তরে কওমী শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য চলমান। অথচ, এই তরুণরা দেশের ধর্মীয়, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। কিন্তু তাদের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সমর্থন ও সুযোগের অভাব প্রকট।

কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা এই সমস্যা সমাধানে তেমন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। তাদের নিষ্ক্রিয়তা ও আত্মকেন্দ্রিকতা কওমি তরুণদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলছে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কওমি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের পথ সুগম করার জন্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো সক্রিয় তদবীর বা দাবি উত্থাপন করা হচ্ছে না। এর ফলে, কওমি তরুণরা উচ্চশিক্ষা, চাকরি ও সামাজিক উন্নয়নের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ, আলিয়া মাদরাসা ও সরকারি মসজিদে ইমাম পদে কওমি শিক্ষার্থীদের নিয়োগের সুযোগ নেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাইয়াতুল উলয়ার সনদ স্বীকৃত না হওয়ায় বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথও বন্ধ। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পদে কওমী শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো বিশেষ সুযোগ নেই। এমনকি প্রাইমারি স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক পদেও তাদের নিয়োগের সুযোগ সীমিত। 

এমন পরিস্থিতিতে কওমি নেতৃত্বের উচিত রাষ্ট্রের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে তরুণদের জন্য সুযোগ-সুবিধা আদায় করা। হাইয়াতুল উলয়া ও বেফাকের নেতৃবৃন্দ যদি এখনই সক্রিয় না হন, তবে ভবিষ্যতে এই দাবিগুলো আদায় করা আরও কঠিন হয়ে যাবে। রাষ্ট্রের সাথে অংশীদারিত্ব বাড়ানো এবং কওমী তরুণদের জন্য সুযোগের দুয়ার খোলাই এখন সময়ের দাবি।

কওমি তরুণদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় নেতৃত্বের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য। রাষ্ট্রীয় বৈষম্য দূর করে তাদের জন্য উচ্চশিক্ষা, চাকরি ও সামাজিক উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করতে হবে। নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তা কওমি প্রজন্মের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করছে। এখনই সময় রাষ্ট্রের সাথে সংলাপ শুরু করে কওমী তরুণদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ