শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
খেলাফত মজলিস রিয়াদ মহানগরী শাখার তরবিয়তি মজলিস দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা তালেবান সরকারের নিষিদ্ধের তালিকায় মওদুদীর বই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা পর্তুগালের যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪ দালাল ধরে গিয়েছিলেন ইরাকে, ময়লার ভাগাড়ে তিন টুকরায় মিলল লাশ দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প নোয়াখালীতে অটোরিকশা উল্টে প্রাণ গেল নারীর ,আহত-৪ ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট মহানগর, জেলা ও শাবিপ্রবি’র সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি নাসির উদ্দিন এডভোকেট এর ইন্তেকাল

ছেলের কোন আশ্বাসে, কিসের শঙ্কায় দেশ ছাড়তে রাজি হন শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছেলে জয়

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) দেশ ছাড়তে রাজি ছিলেন না, দেশ ছাড়ার বিষয়ে তাকে জোর করা হয়েছে।

পদত্যাগের আগের দিনও আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা জানতেন শেখ হাসিনা আরও কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছেন। পুলিশবাহিনীরও ধারণা ছিল না পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য থেকে জানা যায়, ৪ আগস্ট রাতেও শেখ হাসিনার সঙ্গে নেতা থেকে পুলিশের উচ্চপর্যায়ের যাদের যোগাযোগ হয়েছিল তাদের সবাইকে হাসিনা আরও কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও গণভবনের সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে গণভবনের পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে শুরু করে। তিন বাহিনীর প্রধান এবং পুলিশের আইজির সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনাকে দেশের বাস্তব চিত্র বোঝানো হলেও তিনি পদত্যাগ করবেন না বলে নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা বলেও তাকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজি করাতে পারেননি।

এ অবস্থায় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ফোন করে পুরো ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলেন। জয় নিজেও শুরুতে পদত্যাগে রাজি ছিলেন না। তবে শেখ হাসিনার জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে না এবং বড় রকমের মৃত্যুঝুঁকি আছে এমন পরিস্থিতি জয়ের সামনে তুলে ধরা হলে তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে পদত্যাগের বিষয়ে আলাপে রাজি হন।

জানা যায়, জয়ের সঙ্গে হাসিনার ১০ মিনিটের মতো ফোনালাপ হয়। ওই ফোনালাপে জয় হাসিনাকে বোঝান যে এ মুহূর্তে গণভবনে থাকা তার জন্য নিরাপদ নয়। আপাতত গণভবন থেকে ভারতের উদ্দেশে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। আওয়ামী লীগের হাতে টিকে থাকার শেষ দান ছিল ভারতের সহায়তা। শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে তিনি পুনরায় দেশে ফিরে আসতে বা রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারবেন এমন আশ্বাসে এবং বেঁচে না থাকলে আওয়ামী লীগের আপাতত হাল ধরার আর কেউ থাকবে না এমন শঙ্কায় ছেলের কথায় পদত্যাগে রাজি হন শেখ হাসিনা।

পদত্যাগের আগে হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন। জয়ের পরামর্শেই হাসিনা শেষবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন। তবে ততক্ষণে ছাত্র-জনতা গণভবনের কাছাকাছি চলে এসেছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ভাষণ রেকর্ডের সময়ও পাননি সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ