জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য হয়েছে ১৪ সেপ্টেম্বর, জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলের অধীনে সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সাক্ষ্য দেন দুই পুলিশ পরিদর্শক। এর মধ্যে এসআই মো. তরিকুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। অপর পুলিশ পরিদর্শকের জেরা পরবর্তী তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, ৮ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দেন রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলাম, এবং ৭ সেপ্টেম্বর জবানবন্দি প্রদান করেন রংপুরে কর্মরত এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট একেএম মঈনুল হক।
সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল ২৮ আগস্ট আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের জবানবন্দি থেকে। একই দিনে সাংবাদিক মঈনুল হক সাক্ষ্য দেন, কিন্তু জেরা করা হয়নি।
এদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় ছয় আসামিকে, যাদের মধ্যে ছিলেন- এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল এবং আনোয়ার পারভেজ।
মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার ২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয়। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৪ জন এখনও পলাতক। তাদের পক্ষে ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়।
পলাতক আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুজাত মিয়া, মামুনুর রশীদ, ইশরাত জাহান, শহিদুল ইসলাম, আমিনুল গণি টিটো, আজিজুর রহমান দুলু এবং সালাহউদ্দিন রিগ্যান।
মামলায় মোট ৬২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এমএইচ/