রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
'শাপলা শহীদ গার্ডিয়ান ফোরাম' গঠনে সুধী মতবিনিময় সভা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আহলে হাদীস যুব সংঘের কমিটি গঠন বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন উত্তরা পশ্চিম থানা আহবায়ক কমিটির গঠন বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম কাউন্সিল এর আত্মপ্রকাশ খাগড়ছড়িতে সংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ১২ই আগষ্ট নোয়াখালীতে হিযবুত তওহীদ এর সকল কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে মহেশখালীতে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ৭নং জগদল ইউনিয়ন শাখা কমিটি গঠন সম্পন্ন  ঝিনাইদহ সীমান্তে ঢাকা দক্ষিণ আ'লীগের দপ্তর সম্পাদক আটক সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

বাচ্চারা উল্টো জুতা পরতে পছন্দ করে কেন? 


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

|| মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ||

শিশুরা যখন হাঁটতে শেখে ও নিজ হাতে জুতা পরার চেষ্টা করে, তখন অনেক সময় দেখা যায় তারা উল্টো পায়ে জুতা পরে নেয়—ডান পায়ের জুতা বামে, আর বামেরটা ডানে। বিষয়টি যেমন মজার, তেমনি অনেক মা–বাবার জন্য চিন্তারও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে বাস্তবতা হলো—এটি স্বাভাবিক একটি আচরণ এবং শিশুদের বেড়ে ওঠার একটি অংশ।

কেন এমন হয়?

বাম–ডান বোধের অনুপস্থিতি  

বাচ্চারা সাধারণত ৪-৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাম ও ডান পার্থক্য বুঝতে শেখে না। ফলে কোন জুতা কোন পায়ে যাবে, তা তারা সঠিকভাবে ধরতে পারে না।

দৃষ্টি ও সমন্বয়ের দুর্বলতা  

শিশুদের চোখ ও হাতের সমন্বয় এখনো বিকাশে থাকে। ফলে জুতার বাঁকানো দিক বা সাইজের পার্থক্য তারা অনুধাবন করতে পারে না।

স্বাধীনতা ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা  

জুতা নিজে পরা শিশুর কাছে একটি অর্জনের মতো বিষয়। অনেক সময় তারা উল্টো পড়লেও গর্ব অনুভব করে। এতে তাদের স্বাধীনতা ও আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়।

আরাম অনুভব  

শিশুর পায়ের গঠন নমনীয় হওয়ায় উল্টো জুতা পরলেও অনেক সময় তারা অস্বস্তি অনুভব করে না, তাই বুঝতেও পারে না যে তারা ভুল জুতা পরেছে।
কী করবেন?

ধৈর্য ধরে শেখান কোন পা কোন দিক। জুতায় চিহ্ন ব্যবহার করুন (রঙ, চিত্র, মুখাবয়ব)। জোড়া জুতা একসঙ্গে রেখে পরানোর অভ্যাস গড়ুন। বারবার বকাঝকা নয়—প্রশংসা ও উৎসাহ দিন।

বাচ্চারা উল্টো জুতা পরে কারণ তারা এখনো শিখছে। এটা কোনো দুশ্চিন্তার বিষয় নয়, বরং একটি মাইলফলক, যা ধীরে ধীরে সঠিক পথে চলে আসবে। সঠিক দিকনির্দেশনা আর ভালোবাসাই তাদের শেখার শ্রেষ্ঠ উপায়।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ