।।মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।।
আমাদের মধ্যে অনেকেই কাজ থেকে ফিরে আগে খেতে বসে যান। যারা ঘরেই থাকেন তারাও দেখা যায় অনেক সময় আগে খাওয়াটা সেরে নেন। বেশি ক্ষুধা কিংবা অলসতাও এর কারণ হতে পারে। খাওয়ার পরে গোসল করলে অবশ্য সাধারণত বড় কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি হয় না, তবে কিছু অসুবিধা বা অস্বস্তিতো দেখা দিতেই পারে।
১. হজমে সমস্যা
খাওয়ার পর শরীরের রক্তপ্রবাহ হজম প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীভূত থাকে। এ সময় গোসল করলে হজম প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়। ঠান্ডা পানি শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ কমিয়ে দেয়, ফলে হজম ব্যাহত হতে পারে।
২. পেটব্যথা বা অস্বস্তি
খাওয়ার পর পর গোসল করলে অনেকের ক্ষেত্রে পেটে চাপ পড়ে বা অস্বস্তি হতে পারে, বিশেষ করে ভারী খাবারের পর। তাই ভারী খাবারের পর গোসল না করাই উত্তম।
৩. ঘুম ঘুম ভাব
খাওয়ার পর আমাদের শরীর একটু গরম হয়। কিন্তু গোসল শরীর ঠান্ডা করে দিতে পারে, ফলে খাওয়ার পর ঝিমুনি বা অলসতা আরও বেড়ে যেতে পারে।
৪. রক্তচাপের সাময়িক পরিবর্তন
গোসল করলে শরীরের বাইরের তাপমাত্রা বদলে যায়, যা কারও কারও ক্ষেত্রে রক্তচাপে প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন।
৫. হালকা মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা
খালি পেটে বা খাওয়ার ঠিক পরে গোসল করলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহে সাময়িক পরিবর্তন হতে পারে, যা মাথা ঘোরানো বা দুর্বলতার অনুভূতি আনতে পারে।
ভালো অভ্যাস কী?
খাওয়ার পর কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে গোসল করা ভালো। এতে হজমও ঠিক থাকবে এবং শরীরের ওপর চাপও কম পড়বে।
তবে গরমে আরাম পেতে বা প্রয়োজন হলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে এসব সমস্যা অনেকাংশে এড়ানো যায়।
এনএইচ/