মুফতী আবদুল কাদের মাহমুদ কাসেমী
দারুল উলূম দেওবন্দের সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত রয়েছে গৌরবময় স্মারক নবিজীর স্মৃতিচিহ্নযুক্ত এক পবিত্র রুমাল, যা বহু বছর ধরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জুব্বা মুবারকের সংস্পর্শে ছিল। তুরস্কের সুলতানরা প্রতি বছর এ জুব্বাটি পরিদর্শন করার সৌভাগ্য অর্জন করতেন। জুব্বাটি আজও তুরস্কে পরম যত্নে সংরক্ষিত রয়েছে। এ অনুপম নিদর্শনটি উসমানিয়া খিলাফতের অমূল্য উপহার, যা ইতিহাসের পাতায় সোনার অক্ষরে লিপিবদ্ধ এক গৌরবময় অধ্যায় হয়ে রয়েছে।
বালক্বান যুদ্ধ চলাকালে যখন মুসলিম উম্মাহ অর্থনৈতিক ও সামরিক সংকটে পড়ে তখন ভারত উপমহাদেশের আলেমসমাজ বিশেষত দারুল উলূম দেওবন্দ, নিজেদের সর্বোচ্চ সহমর্মিতা ও আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে যুদ্ধ কবলিত মুসলিম উম্মাহর পাশে দাঁড়ায়। তাদের আর্থিক সহায়তা ও আন্তরিক উদ্বেগে অনুপ্রাণিত হয়ে পারস্পরিক ঐক্যকে চিরস্মরণীয় করে রাখার লক্ষে উসমানী খিলাফতের সম্মানিত তুর্কী সুলতান ১৩৩২ হিজরী মুতাবেক ১৯১৩ খৃষ্টাব্দে এই পবিত্র রুমালটি দারুল উলূম দেওবন্দের জন্য উপহারস্বরূপ প্রেরণ করেন।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জুব্বা মুবারকের দীর্ঘ সংস্পর্শে ধন্য এ পবিত্র রুমালটি, নয় যুগেরও অধিক সময় ধরে দারুল উলূম দেওবন্দের সংগ্রহশালায় এক গৌরবময় ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে—যা আজও শতশত দর্শনার্থীর জন্য ভক্তি, শ্রদ্ধা, আবেগ ও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
লেখক: শিক্ষার্থী, দারুল উলুম দেওবন্দ,ইউ.পি. ইন্ডিয়া।
এমএইচ/